• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

‘বঙ্গ বাহাদুর’ এর রহস্যজনক মৃত্যু-পোষ্টমর্টেম


প্রকাশিত: ১:০৯ পিএম, ১৬ আগস্ট ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

আসমা খন্দকার  :  অবশেষে করুণ মৃত্যু হয়েছে বঙ্গ বাহাদুরের। ‘বঙ্গ বাহাদুর’ এর রহস্যজনক মৃত্যুর পোষ্টমর্টেম elephent-www.jatirkhantha.com.bdহবে।এরপর জানা যাবে কেন বাঁচানো গেলনা হাতিটিকে।জানা গেছে, ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসা বন্য হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’ অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগে নয়, অতিরিক্ত গরমে ও পানিশূন্যতার কারণে ‘হার্ট এ্যাটাকে’ মারা গেছে বলে দাবি করেছেন বন্য প্রাণী অধিদপ্তরের ভেটোনারি সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মারা যাওয়া হাতিটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি জাতিরকন্ঠকে জানান, সরিষাবাড়ির কামরাবাদ ইউনিয়নের সোনাকান্দ গ্রামের যে জলাশয়ে হাতিটি ছিল সেখানে পানি কম ছিল। আর গতকাল (সোমবাম) প্রচন্ড গরম থাকার কারনে পানি গরম হয়ে যায়। এ কারণে হার্ট এ্যাটাকে হাতিটি মারা গেছে।’

তিনি আরও জানান, আজ মঙ্গলবারই কয়রা গ্রামেই হাতিটির ময়নাতদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। মুস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, ১৫ অাগস্ট অতিরিক্ত গরম ছিল। আমরা হাতিটাকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। এমনকি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত মেশিন দিয়ে হাতির গায়ে পানিও দিয়েছি। কিন্তু হাতিকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি।

এদিকে, হাতি উদ্ধারের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও কেন স্থানান্তর করা হল না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে হাতিটি উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে পাকা রাস্তার দুরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। এই ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হাতিটাকে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, অতি স্বল্প মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। এ মাত্রার ওষুধে হাতি মারা যাওয়ার কথা নয়। তবে তার এ কথার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না এলাকাবাসী।

ভারত থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসা বন্য হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’ শেষ পর্যন্ত মারা গেছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মারা যায় হাতিটি। বাংলাদেশ বন বিভাগের সাবেক বন সংরক্ষক কর্মকর্তা ড. তপন কুমার দে বলেন, উদ্ধার হওয়া ভারতীয় হাতিটিকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিপাকে পড়েন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

সোমবার টাংকুলাজারের মাধ্যমে আটক করার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ‘বঙ্গ বাহাদুর’ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়তে থাকে সে, এর পরই আজ ভোরে সে মৃত্যুবরণ করে।ভারতের আসাম থেকে গত ১৭ জুন বন্যার পানিতে ভেসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আসে। পরে গাইবান্ধা, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ২৭ জুন সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার ছেন্নার চর যমুনা নদীর দ্বীপে আটকে পড়ে।

এখানে কয়েক দিন অবস্থান করার পর ২৮ জুলাই জামালপুরের সরিষাবাড়ি চলে আসে হাতিটি।এ সময় হাতিটিকে পর্যবেক্ষণ করেন বাংলাদেশ বন বিভাগের ৩টি ইউনিটের ১৭ সদস্য। তিনদফা চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে উদ্ধার অভিযানে ব্যর্থ হন তারা। তারপর হাতিটি উদ্ধারের জন্য ভারতের তিন সদস্যের দল সরিষাবাড়িতে আসেন ৪ আগস্ট। দলটি হাতি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ৭ আগস্ট ভারতে ফিরে যায়।