• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার সঙ্গে বাজপেয়ীর একাত্মতা প্রকাশের ঋৃণ শিকার শেখ হাসিনার


প্রকাশিত: ৫:২৫ পিএম, ৭ জুন ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৯ বার

আবু তাহের.ঢাকা: modi-bangobandu-www.jatirkhantha.com.bdরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছ থেকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির পক্ষে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ গ্রহণ করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ রোববার বেলা একটা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে মোদির হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন আবদুল হামিদ। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দরবার হলে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্মাননা গ্রহণ শেষে দেওয়া বক্তব্যে মোদি বলেন, অটল বিহারি বাজপেয়ির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করতে পেরে গর্বিত তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক সভাপতি বাজপেয়ির অবদান স্মরণ করেন। বাজপেয়ির মতো ব্যক্তিত্ব ও অকৃত্রিম বন্ধুকে সম্মানিত করতে পারা গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাজপেয়িকে সম্মাননা দেওয়া-সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাজপেয়ি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। ওই সময় ভারতীয় জনসংঘের সভাপতি এবং লোকসভার সদস্য হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং মুজিবনগর সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তৎকালীন ভারত সরকারের কাছে দাবি জানান। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় জনসংঘ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সত্যাগ্রহ আন্দোলন ও প্রতিবাদ র‍্যালির আয়োজন করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন তিনি।

সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজ সারবেন মোদি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গভবনে যান মোদি। তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি।

বঙ্গভবনে মোদি

বিকেলে মোদির সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে জনবক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা অনুষ্ঠান শেষে সরাসরি বিমানবন্দরে গিয়ে দিল্লির পথে যাত্রা করবেন মোদি।

বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মোদি। সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন দর্শন করেছেন তিনি। এরপর গেছেন বারিধারা কূটনৈতিক জোনের দূতাবাস সড়কে ভারতীয় হাইকমিশনে। সেখানে তিনি নতুন চ্যান্সেরি উদ্বোধন করেছেন।

সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে সফরের দ্বিতীয় দিনের কার্যসূচি শুরু করেন তিনি। সেখানে তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। মন্দির দর্শন এবং প্রার্থনায় অংশ নেওয়ায় পর মোদির হাতে স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়।

এরপর ৯টা ১০ মিনিটের দিকে মোদি যান রামকৃষ্ণ মিশনে। সেখানেও তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন দর্শন করেন। অংশ নেন প্রার্থনায়। সেখানেও তাঁকে একাধিক স্মারক ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

মন্দির দর্শন করে মোদির দিন শুরু

রামকৃষ্ণ মিশন থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মোদি রওনা দেন বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান। দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণের পর নতুন চ্যান্সেরি উদ্বোধন করেন মোদি। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারত সরকারের সহায়তায় নির্মিত ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে সেখান থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফেরেন তিনি। দুপুরে এখান থেকে বঙ্গভবনে যান।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি প্রথমবারের মতো গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশে আসেন