‘বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ আগেই লেখা ছিল-তিনি সেই ভাষণ মুখস্থ করেছিলেন।’
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ আগেই লেখা ছিল। তিনি সেই ভাষণ মুখস্থ করেছিলেন।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার দুপুরে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘স্বাধীনতার চেতনা : গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় রব এ সব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার দুপুরে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘স্বাধীনতার চেতনা : গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় রব এ সব কথা বলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী রব বক্তব্যকালে প্রশ্ন রেখে বলেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কোথায় সেই মুক্তির সংগ্রাম, কোথায় সেই স্বাধীনতার সংগ্রাম?” এ সময় তিনি আরও বলেন, “অনেকেই প্রশ্ন করে বলেন, ‘২০ মিনিটের ওই ভাষণ বঙ্গবন্ধু কিভাবে করলেন?’ তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই এটি আগেই লেখা ছিল বঙ্গবন্ধুর। ছয়মাস পায়চারী করতে করতে তিনি তা মুখস্থ করেছিলেন।”
মুজিবনগর সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার বক্তব্যে ধিক্কার জানিয়ে রব বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা বলেছেন, ‘মুজিবনগর সরকার বলে কোনো কিছু নেই।’ ছি! মুজিবনগর সরকার বলে যদি কিছু না থাকে তবে বিদেশীরা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলো কার কাছে?” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রব বলেন, ‘উত্তরপাড়া বলেন কেন? সরাসরি সেনাবাহিনী বলতে পারেন না। এত রাখঢাকের দরকার কী?’
তিনি বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকারের দাবি, মান্না দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। মান্না ষড়যন্ত্র তো দূরের কথা ষড়যন্ত্রের গন্ধও শুঁকতে পারত না। ঢাবিতে লাশ পড়ার কথা বলেছে তাতে কী হয়েছে? বিনা বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছে তার তো বিচার হচ্ছে না!’ ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে রাজনীতি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করেন সাবেক এ ছাত্রনেতা। মান্নাকে উদীয়মান জাতীয় নেতা উল্লেখ করে বিনাশর্তে তার মুক্তি দাবি করেন রব। তিনি বলেন, ‘যদি মান্না দোষী হয় তার বিচার করুন।
কিন্তু জেলে আটক রাখার অধিকার সরকারের নেই।’ সভায় সংগঠনের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের ঢাকা মহানগরের (উত্তর) আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।