• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বগুড়ার পর জয়পুরপুরহাটে ভল্ট ভেঙ্গে লুট প্রায় ২ কোটি টাকা


প্রকাশিত: ২:১৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০১ বার

 

Bank_voltজয়পুরহাট প্রতিনিধি: বগুড়ায় ভল্ট ভেঙ্গে ৩০ লাখ টাকা চুরির পর এবার জয়পুরপুরহাটের ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লুট হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। বগুড়ার ঘটনায় ব্যাংক ম্যানেজারসহ ৭ জন আটক হলেও জয়পুরহাটে কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়কের শাজাহান প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান শাখায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকা চুরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ শনিবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁর ভাষ্য, গতকাল রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। দুবৃ‌র্ত্তরা ব্যাংকের পুব দিকের দেয়াল কেটে ভেতরে ঢোকে। তারা ব্যাংকের টাকা রাখার ভল্ট ভেঙে এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা চুরি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে টাকার পরিমাণ এর কম বা বেশি হতে পারে। ব্যাংকের ওই শাখার ব্যবস্থাপক বর্তমানে ঢাকায় আছেন। উনি ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।

সকাল ১০টার দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ চুরি ঘটনার পর ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

 

বগুড়ায় সুড়ঙ্গ খুড়ে ভল্টের ৩০ লাখ টাকা চুরি

বগুড়া ব্যাংক ভল্ট বগুড়া প্রতিনিধি জানান,

 এর আগে ৯ মার্চ বগুড়ায় সুড়ঙ্গ খুড়ে সোনালী ব্যাংক ভল্টের ৩০ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় পুলিশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ আরও ৭ জনকে আটক করে পুলিশ।

আদমদীঘি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, টাকা লুটের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার সকালে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামছ উদ্দিন শরীফসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক অন্যরা হলেন- ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী রুহুল আমীন, ব্যাংক কার্যালয় সংলগ্ন বিপ্লব ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আব্দুল ওহেদ, মো. মৃদুল, পাশের ওয়েলডিং দোকানের কর্মচারী আব্দুল লতিফ।

এর আগে ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরের রথখোলা এলাকায় সোনালী ব্যাংকের অফিসে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা চুরি হয়।

দু’দিনের মাথায় এ চুরির মূল হোতা সোহেল ওরফে হাবিবসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আদমদীঘি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, টাকা লুটের ঘটনায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামছ উদ্দিন শরীফসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক অন্যরা হলেন- ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী রুহুল আমীন, ব্যাংক কার্যালয় সংলগ্ন বিপ্লব ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আব্দুল ওহেদ, মো. মৃদুল, পাশের ওয়েলডিং দোকানের কর্মচারী আব্দুল লতিফ।

আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের কার্যালয় সংলগ্ন বিপ্লব ফার্নিচারের দোকান থেকে সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা লুট হয়।