• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় কয়েদী পালানোর পর-সব কারাগারে এ্যালার্ট


প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, ২৭ জুন ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৬ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : বগুড়ায় জেলখানা থেকে কয়েদী পালানোর ঘটনায় সারা দেশের পুরোনো ভবন থাকা কারাগারগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। কারাগারের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বসানো হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চৌকি।বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন করে কয়েদীদের জন্য চারটি ভবন ও দুটি টিনশেড তৈরি হলেও নিরাপত্তার জন্য এখনো ভরসা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত গাইডওয়াল। কারাগারটিতে থাকা ৮৫৭ কয়েদীর মধ্যে ৮০ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

সম্প্রতি বগুড়ায় কয়েদী পালানোর ঘটনার পর এখানে সতর্কতামূলকভাবে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত ৭ নিরাপত্তা চৌকি। দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নীত হলেও ১৮৬৪ সালের পুরানো ভবনেই চলছে রংপুর কারাগারের কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার কারাগার পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, নতুন কারাভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে অধিদপ্তরে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, এ দায়িত্ব যাদের তারা যেন যথাযথভাবে পালন করেন, এখানে মনিটরিংয়ের বিষয় আছে। এই মনিটরিংয়ের ওপর আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। আমাদের কিছু ভবনের চাহিদা আছে, যাতে করে আমরা তাদেরকে একটু আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা নিতে পারি। সে হিসেবে প্রকল্পগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। খুলনায় ২০১১ সালে নতুন কারা ভবন নির্মাণ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি কাজ। ১৯০৬ সালে নির্মিত ভবনেই চলছে কার্যক্রম। এদিকে, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কারাগার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কার্যক্রম চলছে ২০০ বছরের পুরানো ভবনে। ধারণক্ষমতার ৩ গুণেরও বেশি বন্দী আছে এই কারাগারে।

রাজশাহী জেলা সুজনের সহ–সভাপতি ফরাস আহমেদ আরিফ বলেন, বন্দিরা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে কিন্তু নতুন ধরনের কোনো অপরাধ করতে পারে। জেলখানা সংশোধনের জায়গা, সেখানে কিন্তু সংশোধনের সুযোগ থাকে না। কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয়গুলো যারা দেখভাল করেন তাদের উচিৎ হবে এটা সংস্কার করা।২০২১ সালে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালায় হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেল। এরপর দেয়াল আরও উঁচু করার পাশাপাশি বাড়ানো হয় প্রহরীর সংখ্যা।

এদিকে, কারাগার সংস্কারের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সাবেক আইজি প্রিজন লিয়াকত আলী খান বলেন, একই মামলায় একইরকম সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের একত্রে রাখা কোনো অবস্থাতেই সমীচিন হবে না। এটা বিধি বিধানেও নেই। এতে করে তারা পরামর্শ করে একে অপরের সহযোগীতা নিয়ে সম্ভবত এটি করেছে।দেশে ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার।