• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বখাটেদের সঙ্গে অনৈতিক কর্ম দেখে ফেলায় সন্তান হত্যা


প্রকাশিত: ৪:৪২ এএম, ১২ জুন ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

খুলনা প্রতিনিধি   :  বখাটেদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের শিশু সন্তান হাসমি মিয়াকে (৯) ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে মা। হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে মরদেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইiiiপাস সড়ক সংলগ্ন সরদারডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।

হাসমি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মা সোনিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছেন।শনিবার বিকেলে খুলনা মহানগর হাকিম ফারুক ইকবালের আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম খান বলেন, ০৬ জুন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে শিশু হাসমি মিয়ার মা সোনিয়া বেগম বখাটে যুবক নুরুন্নবী (২০) ও রসুলের (২২) সঙ্গে ২ হাজার টাকা চুক্তিতে সরদারডাঙ্গা বাগানের (বাঁশঝাড়) মধ্যে অপকর্মে লিপ্ত হয়।
sonia mardarar -www.jatirkhantha.com.bd
এ সময় তার শিশু সন্তান হাসমি ঘটনা দেখে ফেলায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুসারে মায়ের সামনেই নুরুন্নবী ধারালো ছুরি দিয়ে হাসমির গলা কাটে। হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই রাতেই মরদেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদারডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলে স্বীকার করেছেন মা।

পরদিন ঘটনাটি সোনিয়া তার প্রেমিক আসাদুজ্জামান আসাদকে জানান। আসাদ কেসিসি’র ৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালামের ভাই। পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, ২০০৬ সালে মানিকতলার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সঙ্গে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। এর ৬ মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সোনিয়ার চলাফেরা উশৃঙ্খল হতে থাকে। এলাকার যুবকদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্বামী হাফিজুর রহমান দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টায় গত ৬ মাস আগে তাকে তালাক দেন হাফিজুর রহমান।

তালাকের পরও গত ০৬ জুন সোনিয়া তাদের দু’ সন্তান হাসমি ও হাসফির মধ্যে বড় ছেলে হাসমিকে স্বামীর কাছ থেকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল, ছেলে হাসমিকে গুম করে স্বামীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করা। কিন্তু বিষয়টি অন্যদিকে চলে যায় বলেও আদালতে স্বীকার করেছেন সোনিয়া।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আড়ংঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. মিজানুর রহমান জানান, মা সোনিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে সোনিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।