ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বদরুল বদলা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবে-
সাইফুল বারী মাসুম : খাদিজা নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর দেড় ঘন্টা আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বদরুল তার প্রেম প্রত্যাখানের বদলা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শাবিপ্রবি’র ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলম স্ট্যাটাসে লিখেছে, ‘নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষগুলোর কাছে আমি সবিনয়ে ক্ষমাপ্রার্থী। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া কেউ আপন নয়।’
২১ সেপ্টেম্বর বদরুল তার স্ট্যাটাসে লিখেছে, ‘বিশ্বাসঘাতকতার যন্ত্রণা হজম করা খুব কঠিন। তবে বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করে দিতে পারা সর্বোচ্চ মহানুভবতার পরিচায়ক। সুন্দর ব্যবহার প্রদর্শনের মাধ্যমে যারা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বস্ত করে গড়ে তুলতে পারেন; তারাই মানবতার মহান শিক্ষক। তা-ই যেন করতে পারি। বিশ্ব শান্তি দিবসে বিশ্বস্ত আর বিশ্বাসঘাতক দুই সম্প্রদায়ের লোকদের জন্যই শান্তি কামনা করি। আল্লাহুম্মা আমিন-ছুম্মা আমিন।’
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩ অক্টোবর ঘটনার দেড়ঘণ্টা আগে যে স্ট্যাটাসটি দেওয়া হয়েছে সেটি থেকে এটা স্পষ্ট যে, সে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে তার ক্ষমা প্রার্থনা করতে হচ্ছে। সে এধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটানোর সিদ্ধান্ত ততক্ষণে নিয়ে ফেলেছে বলে অনুমান করা যায়।
আহত খাদিজা বেগম নার্গিস বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ৭২ ঘন্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামিক ইতিহাস বিভাগের ডিগ্রির শিক্ষার্থী ও নগরীর আখালিয়া এলাকার মাশুক মিয়ার মেয়ে। তার ওপর হামলাকারী বদরুল ইসলাম শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জোছনা বাজারের বাসিন্দা।