ফেসবুকে অস্বাস্থ্যকর যৌনবিকৃতিকর ছবি অসংখ্য অশ্লীল পেজ প্রোফাইল
সেলিনা পারভিন.ঢাকা: বিকৃত আচরণ করে অশ্লীল ছবি পাঠান তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে অনেকে স্বাভাবিকভাবে ফেসবুক হয়ত আর ব্যবহার করতে পারবেন না। কোমলমতি শিশু বা কিশোর অনেক সময় তার বাবা মা ও বড় ভাই বোনদের সঙ্গে ফেসবুক শেয়ার করেন। একবার ভাবুন তাদের সামনে এধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে কি ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের।
সাথীরই এক ফেসবুক বন্ধু তার ওয়ালে একটি অপ্রীতিকর, নগ্ন ও অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করেছে। দেখে সাথীতো রেগে খুন। পোস্টটি ডিলিট করার আগেই সে বন্ধুর ফোন এলো যে, সে ঐ ভিডিও শেয়ার করেনি এবং বিষয়ে কিছু জানেও না!
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে বিষয়টি একেবারে নতুন নয়। বিভিন্ন রকম অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপস্) ব্যবহার করার কারণে এ ধরনের হেনস্থার শিকার অনেকেই হন। যদিও ফেসবুকের বিধি-নিষেধ অনুযায়ী অশ্লীল কোনো ছবি বা ভিডিওচিত্র পোস্ট করা নিষেধ এবং এ ধরনের পোস্ট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজ থেকেই মুছে দেয়। সেক্ষেত্রে এ ধরনের অপ্রীতিকর ভিডিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মুছে দেয়ার কথা থাকলেও আদতে তা হচ্ছে না। কারণ অ্যাপস্ কোম্পানিগুলো থেকে প্রচুর অর্থ ফেসবুক পেয়ে থাকে।
এ অ্যাপস্গুলো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য, যেমন: জš§তারিখ, স্কুল, কলেজ, চাকরির তথ্য, ছবি অর্থাৎ যাই আপনি আপলোড করেন এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে করা আলাপচারিতাও (চ্যাট মেসেজ) অনায়াসে পেয়ে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো। উপরন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে আসার (লগ আউট) পরও আপনি কোন কোন সাইটে যাচ্ছেন সে তথ্য সংগ্রহে রাখছে। ফলে প্রাইভেট বলে আদৌ কোনো বিষয় আর ফেসবুকে থাকছে না।
এছাড়াও ফেসবুকে রয়েছে অসংখ্য অশ্লীল পেজ এবং প্রোফাইল, যেখানে অস্বাস্থ্যকর এবং যৌনবিকৃতিকর ছবি ও ভিডিও প্রদর্শিত হচ্ছে। অথচ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর দৃশ্য প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তবে ফেসবুক ব্যবহার যারা করছেন তাদের মধ্যে যারা এধরনের বিকৃত আচরণ করে অশ্লীল ছবি পাঠান তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে অনেকে স্বাভাবিকভাবে ফেসবুক হয়ত আর ব্যবহার করতে পারবেন না। কোমলমতি শিশু বা কিশোর অনেক সময় তার বাবা মা ও বড় ভাই বোনদের সঙ্গে ফেসবুক শেয়ার করেন। একবার ভাবুন তাদের সামনে এধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে কি ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের।
সাইবার আইনে এধরনের নগ্ন ছবি যারা ফেসবুকে দেন তাদের চিহ্নিত করা প্রযুক্তিগতভাবে কখনোই অসম্ভব কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের অপব্যবহার রোধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। কারণ এধরনের অপরাধ সামাজিক নিরাপত্তা বিনষ্ট করতে সরাসরি ভূমিকা রাখে।