ফের স্বরুপে মি. ফিজ
চট্টগ্রাম থেকে প্রদীপ শীল : ‘ হ্যাপি বার্থ ডে-টু ফিজ’ প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে এক দর্শক শুভেচ্ছা জানালেন মোস্তাফিজুর রহমানকে। তখনই তাঁর বলে লেগ গালিতে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ হয়ে ডেভিড ওয়ার্নার আউট! অস্ট্রেলীয় ওপেনারকে তুলে নিয়ে দর্শকদের শুভেচ্ছার দারুণ এক জবাব দিয়েছেন মোস্তাফিজ।
কাল সংবাদ সম্মেলনেও মোস্তাফিজের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে। দুই দলই চট্টগ্রাম টেস্টে খেলছে এক পেসার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স সুইং আর গতিতে যেভাবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের পরীক্ষা নিয়েছেন, মোস্তাফিজ কিন্তু তাকেক টপকে গেছেন! নাসির হোসেন বললেন, ‘কামিন্স তো উইকেট পায়নি, মোস্তাফিজ পেয়েছে।’
উইকেটপ্রাপ্তিতে কাল কামিন্সের চেয়ে মোস্তাফিজ ছিল এগিয়ে। কিন্তু ১০ ওভার বোলিংটা মোস্তাফিজ-সুলভ ছিল না। আজ দেখা গেছে আসল মোস্তাফিজকে। আজ দুটি উইকেট পেয়েছেন। বোলিং করেছেন তাঁর চেয়েও ভালো। অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখেছেন। স্পিনারদের কাজ সহজ করে দিয়েছেন। ২০ ওভার শেষে তাঁর নামের পাশে ৩ উইকেট। ২২তম জন্মদিনে মোস্তাফিজের চেনা হাসিমুখটা ফিরে পাওয়াও বাংলাদেশের জন্য সুখবর।
ঢাকা টেস্টে ছিলেন উইকেটশূন্য। যদিও স্পিনারদের দাপটে তাঁর করার খুব বেশি কিছু ছিলও না। প্রথম ইনিংসে ৮ ওভারে ১৩ রান দিয়েছিলেন। পরের ইনিংসে বোলিংয়ের সুযোগই পেলেন মাত্র ১ ওভার। চোট কাটিয়ে টেস্টে ফিরেছেন গত মার্চে। কলম্বোয় শততম টেস্টে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও অনেক দিন ধরেই মোস্তাফিজকে ঠিক মোস্তাফিজের মতো মনে হচ্ছে না।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে বলেছিলেন, ‘কেউ নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে খারাপ খেলে না। চেষ্টা থাকবে এই সিরিজে ভালো করার।’চট্টগ্রামে দেখা যাচ্ছে মোস্তাফিজের সেই ‘ভালো’টা। প্রায় হারিয়ে যেতে বসা কাটারের কয়েকটি ঝলক দেখা গেল। উইকেটে বল পড়ে সপাং করে স্টাম্পে ধেয়ে আসার মায়াবী ডেলিভারির কয়েকটি আহা-উহু তুলল প্রেসবক্সে।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই চট্টগ্রামেই দুর্দান্ত অভিষেক হয়েছিল ফিজের। নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ‘পয়া’ মাঠ এবারও ফেরায়নি তাঁকে। কাল ১ উইকেট যোগ করতে পারলে অভিষেকের সেই ইনিংসের পর আরও একবার ৪ উইকেট পাবেন।