• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফের বাজুস প্রেসিডেন্ট হলেন বসুন্ধরা এমডি আনভীর


প্রকাশিত: ৮:৪৫ পিএম, ২ নভেম্বর ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৬ বার

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের জুয়েলারি শিল্প উন্নয়নের রূপকার ও শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।আগামী দুই বছরের জন্য তিনি টানা দ্বিতীয়বার ঐতিহ্যবাহী এ বাণিজ্য সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।বাজুসের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদল চন্দ্র রায়।বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দেশের খ্যাতনামা উদ্যমী শিল্পোদ্যোক্তা সায়েম সোবহান আনভীর ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করায় সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজুস নির্বাচন বোর্ডের সদস্য এফবিসিসিআই পরিচালক ও জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জুয়েল এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মো. রকিবুল আলম (দীপু)। তাদের স্বাক্ষরিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল বাজুসের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়।

বাজুস নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী। আপিল বোর্ডের দুই সদস্য ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার ও বাজুসের প্যানেল ল’ইয়ার অ্যাডভোকেট মো. শাহজামান ফিরোজ (তুহিন)।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকালে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, বাজুস অফিসের সবার সহযোগিতায় আমরা ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশা করছি নতুন কমিটি দেশের জুয়েলারি খাতে যেসব সমস্যা আছে তা সামাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, যারা জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের এ কমিটি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিতে পারবে এবং বাংলাদেশের পণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারবে। আমরা আনন্দিত, আপনারা যাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দেশের জুয়েলারি সেক্টরকে নতুনভাবে সামনে উপস্থাপন করার জন্য তিনিই উপযুক্ত ব্যক্তি। জুয়েলারি খাতে যেসব সমস্যা আছে, আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি সেসব সমস্যার সমাধান করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজুসের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, প্রথমে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের। একইসঙ্গে নবনির্বাচিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকে এই সংগঠনটি যে শক্তিশালী পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে সেটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের যোগ্য নেতৃত্বে। আমরা আশা করছি, সামনের দিনগুলো সবাই মিলে কাজ করবো। যেখানে ভুলত্রুটি আছে সেগুলো সংশোধন করবো। সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো। একইসঙ্গে সরকারের যাতে রাজস্ব আয় বাড়ে সে বিষয়েও চিন্তা করবো। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস নির্বাচন বোর্ড ঘোষিত চূড়ান্ত ফলের তথ্যানুযায়ী, সংগঠনটির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তার সঙ্গে নির্বাচিত সাত সহসভাপতি হলেন: অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেডের কর্ণধার এম এ হান্নান আজাদ, মেসার্স দি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার গুলজার আহমেদ, আমিন জুয়েলার্সের কর্ণধার কাজী নাজনীন ইসলাম, জুয়েলারি হাউজের কর্ণধার মো. রিপনুল হাসান, গোল্ড ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার মাসুদুর রহমান, মেসার্স রিজভী জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, ফেন্সী ডায়মন্ডের কর্ণধার সমিত ঘোষ অপু।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন- জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদল চন্দ্র রায়। এ কমিটিতে নির্বাচিত নয়জন সহসম্পাদক হলেন- বায়তুল জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. মজিবর রহমান বেলাল, দি ডায়মন্ড সীর কর্ণধার মো. ইমরান চৌধুরী, মনিমালা জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. তাজুল ইসলাম, গোল্ড কিং জুয়েলার্সের কর্ণধার এনামুল হক ভুঞা লিটন, আফতাব জুয়েলার্সের কর্ণধার উত্তম ঘোষ, মেসার্স আলভী জুয়েলার্সের কর্ণধার মোস্তফা কামাল, জারা গোল্ডের কর্ণধার কাজী নাজনীন হোসেন জারা, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আসলাম খান অপু, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্সের কর্ণধার ফরিদা হোসেন। কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড লিমিটেডের কর্ণধার উত্তম বণিক।

নবনির্বাচিত কমিটিতে ১৬ জন সদস্য হলেন- ডায়মন্ড হাউজের কর্ণধার ও বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সিরাজ জুয়েলার্সের কর্ণধার ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, নিউ জেনারেল জুয়েলার্সের কর্ণধার আনোয়ার হোসেন, পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের কর্ণধার পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের কর্ণধার পবন কুমার আগরওয়াল, মেসার্স বৈশাখী জুয়েলার্সের কর্ণধার নারায়ন চন্দ্র দে, ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিধান মালাকার, রহমান জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. মজিবর রহমান খান, আলনুর জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. ওয়াহিদুজ্জামান, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্সের ম্যানেজিং পার্টনার জয়দেব সাহা, মেসার্স সাজনী জুয়েলার্সের কর্ণধার ইকবাল উদ্দিন, রিয়া জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. ছালাম, গৌরব জুয়েলার্সের কর্ণধার গণেশ দেবনাথ, মেসার্স স্বর্ণালী জুয়েলার্সের কর্ণধার হাজী মো. শামছুল হক ভুঞা, আদর জুয়েলার্সের কর্ণধার মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজির কর্ণধার মো. আলী হোসেন।