ফের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন হিলারি-৩০ লাখ আমেরিকানের আবেদন
আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : ফের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন হিলারি।এজন্য ৩০ লাখ আমেরিকান আবেদন করেছেন। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার এক আবেদনে সই করেছেন দেশটির ৩০ লাখেরও বেশি নাগরিক। আবেদনে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদেরকে আগামী মাসের বৈঠকে এ নির্বাচন সম্পন্ন করার আর্জি জানানো হয়েছে।
সাধারণত জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকেই তারা অনুমোদন দেন। কিন্তু কারিগরিভাবে প্রথা ভেঙে জননির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো প্রার্থীকে বেছে নেয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।অনেকে বলছেন, এ কারণে হিলারির প্রেসিডেন্ট হওয়ার একটা সম্ভাবনা এখনও আছে। অনেক সময় ইলেক্টররা বিপক্ষ দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। তবে দেশটির তাতে কখনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে যায়নি।
আবেদনকারীরা বলেছেন, পপুলার (জনগণের) ভোটে প্রায় ৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করেছেন হিলারি ক্লিনটন। কাজেই তাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের জটিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পপুলার ভোট কম পেয়েও ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে অনেক সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এবার ট্রাম্পও কম ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
চেঞ্জ ডট অর্গ নামের একটি সংগঠনের করা এ আবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের যোগ্য নন। তিনি এ পর্যন্ত বহু মার্কিন নাগরিককে বলির পাঁঠা বানিয়েছেন, দম্ভ দেখিয়েছেন, যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন এবং সর্বোপরি প্রশাসন চালানোর অনভিজ্ঞতা তাকে প্রেসিডেন্ট পদে একজন বিপজ্জনক ব্যক্তিতে পরিণত করবে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোটে জয়ী হয়েছেন এবং তাকেই প্রেসিডেন্ট করতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রতি চার বছর পরপর ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করেন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর এ কলেজের ৫৩৮ সদস্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সাধারণত জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকেই তারা অনুমোদন দেন। কিন্তু কারিগরিভাবে প্রথা ভেঙে জননির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো প্রার্থীকে বেছে নেয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।অনেকে বলছেন, এ কারণে হিলারির প্রেসিডেন্ট হওয়ার একটা সম্ভাবনা এখনও আছে। অনেক সময় ইলেক্টররা বিপক্ষ দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। তবে দেশটির তাতে কখনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে যায়নি।