• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ফুটবল বাঁচাও লড়াই-উড়ছে কোটি টাকা-কে জিতবে সালা্হউদ্দিন না কামরুল?


প্রকাশিত: ২:১২ পিএম, ৩০ এপ্রিল ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩ বার

 
এস রহমান : ফুটবল বাঁচাও লড়াই-উড়ছে কোটি কোটি টাকা -কে জিতবে সালা্হউদ্দিন না কামরুল? salauddin-kamrul-www.jatirkhantha.com.bdপ্রশ্নটা জানা যাবে আজ রাতেই।নির্বাচনে ২০টি পদ। ১৩৪ জন ভোটার। ৪৬ জন প্রার্থী। অভিযোগ ইতিমধ্যে খরচ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের চিত্র এটি।

চার বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। মূল লড়াইটা সম্মিলিত পরিষদের সঙ্গে ‘ফুটবল বাঁচাও’ পরিষদের। কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। হোটেল রেডিসনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এরপর বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

কাউন্সিলরদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি রয়েছেন ৫৩ জন, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ৬৭ জন এবং অন্যান্য ভোটার ১৪ জন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দু’জন। কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল আশরাফ খান পোটন এমপি। তবে আরও দুই সভাপতি প্রার্থীর নাম ব্যালট পেপারে থাকবে। তারা হলেন- গোলাম রাব্বানী হেলাল ও নুরুল ইসলাম নুরু। হেলাল সালাউদ্দিনকে এবং নুরু পোটনকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবদুস সালাম মুর্শেদী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

চারটি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে প্রার্থী দশজন। বর্তমান তিন সহ-সভাপতি বাদল রায়, কাজী নাবিল আহমেদ ও তাবিথ আউয়াল ছাড়াও সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শামসুল হক চৌধুরী এমপি, নজিব আহমেদ, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, খুরশিদ আলম বাবুল ও শেখ মারুফ হাসান। কার্যনির্বাহী সদস্যের ১৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৩২ জন।

ভোটের নামে এখন চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কাউন্সিলর কেনা-বেচার হাটে পরিণত হয়েছে ফুটবলাঙ্গন। কালো টাকা ছড়িয়ে পরিবেশ কলুষিত করার অভিযোগ উঠেছে। বাফুফের নির্বাচন ঘিরে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। প্যানেলের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে দু’হাতে টাকা খরচ করছেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা। কাউন্সিলরদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে হোটেল রেডিসনে। ভোটারদের মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী আবার এজেন্ট নিয়োগ করেছেন ভোটার শিকারের জন্য!

এজেন্টদেরও নাকি মোটা অংকের মাসোয়ারা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে। এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় এসেছেন ফিফা ও এএফসির প্রতিনিধি দক্ষিণ কোরিয়ার সি মুন ইয়ং। বাফুফের নির্বাচনের আগে হবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। সভায় ২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট ও কার্যবিবরণী অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

এবার তৃতীয় মেয়াদে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিন মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে ৬২-৪৯ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১২ সালে সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুর রহিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরে ফিফা পর্যবেক্ষক মণিলাল ফার্নান্ডো সালাউদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বাফুফে সভাপতি পদে এবারই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান এমপি।