‘ফিরোজা বেগম স্বর্ণপদক পেলেন রুনালায়লা
ঢাবি প্রতিনিধি : ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার- ২০১৮’ পেয়েছেন দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। পুরস্কারটি প্রদান করে ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’।আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রুনা লায়লার হাতে স্বর্ণপদক ও পুরস্কার তুলে দেন।প্রয়াত শিল্পী ফিরোজা বেগমের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে ঢাবির সংগীত বিভাগের ২০১৭ সালের বিএ সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় উর্মি ঘোষ ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন— কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, এসিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা এম আনিস উদ দৌলা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত রুনা লায়লাকে অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একজন কিংবদন্তি শিল্পীর নামে প্রবর্তিত স্বর্ণপদক ও পুরস্কার আরেকজন কিংবদন্তি শিল্পী লাভ করলেন। শিল্পী রুনা লায়লা বাংলা সংগীতকে বিশ্ব দরবারে সমৃদ্ধরূপে উপস্থাপন করেছেন।’প্রয়াত শিল্পী ফিরোজা বেগমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য বলেন, ‘নজরুল সংগীতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে তিনি অনন্য অবদান রেখে গেছেন।’
পুরস্কার পেয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘পুরস্কার সব সময়ই আনন্দ দেয়। আজকের এই পুরস্কার একটু অন্যরকম। কেননা, এই পুরস্কারটি বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের নামে। তিনি সারা পৃথিবীতে নজরুল সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন। এই পুরস্কার গ্রহণ করা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
এই পুরস্কারের গুরুত্ব বোঝাতে রুনা লায়লা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে যখন আমাকে এই পুরস্কার বিষয়ে জানানো হয় ফোনে, আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনাকে আমরা ‘বেগম ফিরোজা বেগম পুরস্কার ২০১৮’ দিতে চাইছি। আপনি কি গ্রহণ করতে রাজি আছেন? আমি বললাম, গ্রহণ না করারতো কোনো কারণই নেই। এটা আমাকে জিজ্ঞেস করাই উচিত হয়নি। কারণ এটা এতো বড় একটা সম্মান! এতো বিশাল একজন শিল্পীর নাম আছে এটাতে, আমি কীভাবে গ্রহণ না করে থাকতে পারি!
ফিরোজা বেগমের কথা তুলে ধরে রুনা লায়লা তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী নজরুল গীতির জন্য এক নামে ফিরোজা আপাকে সবাই চেনেন। উনার সময়ে আমাদের শিল্পীদেরকে যেভাবে উৎসাহ দিয়েছেন এটা বলার মতো না। উনার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ না থাকলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর সাথে দেখা হয়েছে।
ওইটুকুর মধ্যেই তিনি আদর করেছেন, আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। আর এই মানুষটার নামে দেয়া পদকটি আমাকে দেয়া হলো, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পদক হয়ে থাকবে। পৃথিবীতে গান যতোদিন থাকবে, ফিরোজা বেগম আপার নামও ততোধিক থাকবে।সম্মাননা হিসেবে রুনা লায়লাকে দেওয়া হয় দুই ভরি সোনার একটি পদক ও এক লাখ টাকার চেক।