ফিরিয়ে দাও জবেদ আলীর যৌবনের ১৩টি বছর
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, আইজি প্রিজন, সাতক্ষীরার তৎকালীন অতিরিক্ত দায়রা জজ তাপস কুমার, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার ও জেল সুপারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।মঙ্গলবার বিচারপিত মঈনলু ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহম্মদ ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
‘খালাসের রায়ের ১৩ বছর পরও জেল খাটছেন জবেদ আলী’ এই শিরোনামে গত ২ মার্চ একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে ২০০১ সালের পহেলা মার্চ বিচারিক আদালত জবেদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
পরবর্তীকালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে তাকে বেকসুর খালস দেয়। হাইকোর্টের এই আদেশের অনুলিপি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক তাপস কুমার দের নিকট পৌঁছায়। কিন্তু তিনি খালাস আদেশ জেল কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে আদালতের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। তার কারণে ১৩ বছর বিনা বিচারে জেলে থাকতে হয় জবেদ আলীকে।
দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরদিন সাতক্ষীরার জেলা দায়রা জজ আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এরপর আদালত তার কারামুক্তির নির্দেশ দেন। দীর্ঘ ১৩ বছর বিনা বিচারে কারাভোগের ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্যারিস্টার আবদুল হালিম।
তিনি আদালতে পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, একজন অতিরিক্ত দায়রা জজের ভুলের কারণে জবেদ আলীকে ১৩ বছরের সাজাভোগ করতে হয়েছে। সভ্য সমাজে এই আচরণ অকল্পনীয়। তাই এই বিষয়ে আদালতের যথাযথ আদেশ দেয়া প্রয়োজন। পরে হাইকোর্ট জবেদ আলীকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করে।