ফারমার্সের দুর্নীতি থামাতে এমডি অপসারণ
বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে ফারমার্স ব্যাংকের দুর্নীতি থামাতে এমডিকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা, অনিয়ম দুর্নীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঋণ বিতরণের দায়ে ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীমকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জাতিরকন্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চিঠি ফারমার্স ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠি পেয়েছে বলেও স্বীকার করেছে।বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততার দায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। অনিয়ম করে দেওয়া ঋণ ফেরত না আসায় ব্যাংকটি ব্যাপক তারল্য সংকটে পড়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর এ কে এম শামীমকে এমডির পদ থেকে কেন অপসারণ করা হবে না- জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের নেতৃত্বে এমডিদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থায়ী কমিটির মুখোমুখি করা হয়। কমিটি সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে তাকে অপসারণের বিষয়ে গভর্নরের কাছে সুপারিশ করে। সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর তাতে সায় দিয়েছেন।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে যে কোনো ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এমডি দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে অপসারণ করা হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদ এবং ২০১৪ সালের ২৫ মে বেসিক ব্যাংকের এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়।
নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক নানা অনিয়মের জড়িয়ে পড়ে। আর এ জন্য বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে। সাম্প্রতিক এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘‘ফারমার্স ও এনআরবিসি ব্যাংক দু’টির অনিয়ম শিওরে ওঠার মতো। তারা পুরো আর্থিক খাতে পদ্ধতিগত ঝুঁকি তৈরি করছে।”