ফখরুলের নয়া ফর্মুলা-সমঝোতা সংলাপের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দিন
বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের রাজনীতি পরিহার করে সমঝোতা সংলাপের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন নির্বাচন দিন।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদসহ সকল রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে চাই।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট দূর করতে সমঝোতা সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। আসুন আমরা এ পথেই সুন্দর সমঝোতামূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পরে দেশে পুরোপুরি একদলীয় শাষণ ব্যবস্থা চালু করছে। এতে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস হচ্ছে। এককালের পুরানো রাজনীতিক দল আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের সব দরজা জানালা বন্ধ করে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।
‘তারা আজ রাজনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ দেউলিয়া। জন সমর্থনহীন সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে শফিক রেহমানসহ দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং নির্যাতন করছে’, মন্তব্য করেন ফখরুল।
সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু কিছু বেতন বাড়িয়ে দেশে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি করা যায়। এতে জনগণের আয় বাড়ে না বরং কমে। কৃষক ধান, ভুট্টার দাম পাচ্ছে না। অথচ সার ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়েই চলেছে। সব দেশে কমলেও এ দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলেছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে বিদ্যুতের পয়সা দিতেই মানুষের মাসের আয় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ দেশের উদ্যোক্তরা বিরূপ পরিস্থিতিতে বিদেশে বিনিয়োগ করছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে আসছে না। দেশের মানুষ এখানে চাঁদাবাজির ভয়ে বাড়ি করছে না।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।