প্রেসিডেন্টের মনোরঞ্জনে নারী রক্ষিতা-কুমারীদের আর্তনাদ
টেলিগ্রাফ অবলম্বনে প্রিয়া রহমান : প্রেসিডেন্টের মনোরঞ্জনে নারী রক্ষিতা কুমারীদের আর্তনাদ চলছেই। কয়েক শতাব্দী আগে শাসকদের মনোরঞ্জনের জন্য হেরেম বা অন্দরমহলের প্রচলন থাকলেও আধুনিককালে তা নেই বললেই চলে। তবে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন ফের তাঁর মনোরঞ্জনের জন্যে হেরেম ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছেন।
এর আগে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার পর থেকে হেরেম ব্যবস্থা চালু থাকলেও ২০১১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর কিম নিজেই এটি বন্ধ করার ঘোষণা দেন। কয়েক বছর বন্ধ রাখার পর উত্তর কোরিয়ার নেতা পুনরায় নতুন রূপে হেরেম চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
পিয়ংইয়ংয়ের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ সযত্নে যাচাই-বাছাই করে হেরেমের জন্য কিশোরী মেয়ে নির্বাচিত করেন। এসব মেয়েরা অবশ্যই দীর্ঘাঙ্গী ও সুন্দরী হয়। প্রেসিডেন্ট কিম পৃথিবীর যেখানেই যান না কেন এসব কিশোরী মেয়েরা তার সব সময়ের সঙ্গী।
সূত্র আরো জানায়, হেরেমের অনেক মেয়েই মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সী এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করে তাদের কুমারীত্ব নিশ্চিত করা হয়। এসব মেয়েদের স্কুল ও পরিবার থেকে আলাদা করে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের যৌন বাসনা মেটানোর কাজে জোর করে বাধ্য করা হয়।
কোরিয়া সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ২০১১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি বন্ধ করে দেয়ার কারণ কিম হেরেমের মেয়েদের বিশ্বাস করতেন না।
তিনি বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় কিম কাউকেই বিশ্বাস করতেন না। তিনি রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ থেকে নিম্নপদস্থ সব কর্মচারীর ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছিলেন’।
তিনি বলেন, ‘যেসব নারী কিমের বাবার মনোরঞ্জন করতো তারা অনেক গোপনীয় বিষয় জানতো। এসব নারীকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার পূর্বে শপথ করানো হয়েছে তারা যেন কোনো তথ্য প্রকাশ না করে’।জাপানের একটি পত্রিকা জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে হেরেমের মেয়েদের গোপনীয়তা রক্ষার দলিলে স্বাক্ষর করে অঙ্গিকার করতে হয়।
জানা গেছে, হেরেমের মেয়েদের মাসে ১,৪০০ পাউন্ড বা ১৬০,০০০ টাকা বেতন প্রদান করা হয় যা উ. কোরিয়ার মতো দরিদ্র দেশের জন্য অনেক বেশি। কিন্তু এরপরও কোনো মেয়ে স্বেচ্ছায় হেরেমের বাসিন্দা হতে চান না।
মেয়েদের এই দলটি জিপেউমজো বা ‘আনন্দদায়ী দল’ নামে পরিচিত। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিমের দাদা কিম ইল-সুং এই নামের প্রচলন করেন।