• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রসবজনিত জটিলতায় প্রায় ১২,০০০ মা


প্রকাশিত: ২:০৭ এএম, ২ জুন ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৫১ বার

এস এম খলিল বাবু: ঢাকা ১ জুন ২০১৪:
বাংলাদেশে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হার অনেকটা কমেছে। তবে এখনও মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ১২, ০০০ মা প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যান। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লক্ষ জীবিত জন্মে ২৯০ জন ও নবজাতকের মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৩৭ জন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৪ ভাগের ৩ ভাগ ও নবজাতকের মৃত্যু হার ৩ ভাগের ২ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষে কাজ করছে সরকার। ২০১৫ সালের আগেই সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা বলছে সরকার।
মাতৃমৃত্যু আমাদের দেশে অধিক্যের কারণ হচ্ছে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ প্রজনন স্বাস্থ্য জরিপ-এ দেখা যায়, এদেশে শতকরা ৮০ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সে। এর মধ্যে শতকরা ২৩ ভাগ নারী ২০ বছর বয়সের আগেই গর্ভধারণ করে। তখন অধিকাংশ মা-ই অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে যা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এর পিছনে রয়েছে কিছু প্রচলিত সামাজিক কুসংস্কার ও রক্ষণশীলতা। যেমন গ্রামে অনেক পরিবারে গর্ভকালীন সময়ে হাঁসের গোশত, মুরগির ডিম, মৃগেল মাছ, কচুশাকসহ অনেক পুষ্টিকর খাবার খেতে দেয়া হয় না। এমনকি গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যার ক্ষেত্রেও অবহেলা করা হয়। বরং অনেক সময় তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে এখনো ১৪ শতাংশ নারী গর্ভাবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়ের হাতে নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুর ঝুকিঁ বাড়ছে।
নিরাপদ মাতৃত্ব প্রতিটি নারীর অধিকার। এ অধিকার অর্জনে আমরা এখনোও অনেক পিছয়ে রয়েছি। কারণ বাংলাদেশে এখনো শতকরা ১৫ ভাগ প্রসব হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে, বাকি ৮৫ ভাগ বাড়িতে। ১৯৯০ সালে এর হার ছিল শতকরা ৫ এবং ২০১৫ সালের লক্ষ্যমাত্রা শতকরা ৬০ ভাগ। প্রসব-পরবর্তী সেবার হার এখনো শতকরা ২২ ভাগ। বেশির ভাগ মাতৃমৃত্যুই ঘটে প্রসব-পরবর্তী সময়ে। বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারী আছে শতকরা ৫৭ ভাগ। মাতৃমৃত্যু প্রতি এক লাখে ১৯৯০ সালে ছিল ৫৭৪ জন, আর মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল বাস্তবায়ন করতে হলে ২০১৫ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা ১৪৩ জনে নামিয়ে আনতে হবে, অর্থাৎ তিন-চতুর্থাংশ কমাতে হবে। গত বছর আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায় ৮৭ শতাংশ মা স্বাস্থ্যকর্মী বা দক্ষ ধাত্রী ছাড়া ও ৯২ শতাংশ মা বাড়িতে প্রসব করায়। এভাবে সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত ঘটছে মাতৃমৃত্যু। এর মধ্যে মাতৃমৃত্যুর ২৫ ভাগই ঘটে জন্মের সময় রক্তক্ষরণ, প্রসব পরবর্তী জটিলতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবের জন্য। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) এক হিসাব অনুযায়ী বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সত্ত্বেও বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মেয়ের কৈশোরে বিয়ে হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ২৬ ভাগ নারী প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যাচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ১২, ০০০ মা প্রসবজনিত জটিলতার কারণে মারা যায়। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লক্ষ জীবিত জন্মে ২৯০ জন ও নবজাতকের মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৩৭ জন।
হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জরুরি ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের সেবা প্রদানবিষয়ক ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বরগুনা জেলায় ২ হাজার ৪১৮ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ১ হাজার ২১১। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৭৪৯, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৪৫৪। জন্ম হয়েছে ১ হাজার ২১৪ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ১ হাজার ১৭৭, মৃত ৩৭, মারা গেছেন ১ মা এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ৩ শিশু। ভোলা জেলায় ৫ হাজার ৭৩ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ২ হাজার ৪৬৭। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ২ হাজার ২৪৫, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২০৩, জন্ম হয়েছে ২ হাজার ৪৭৩ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ২ হাজার ৩৫৩, মৃত ১২০, মারা গেছেন ১৫ মা এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ৬ শিশু। ঝালকাঠি জেলায় ১ হাজার ৭২৯ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রসব করেছেন ১ হাজার ১৯৪। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৭০০, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৪৯৪, জন্ম হয়েছে ১ হাজার ১৯৯ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ১ হাজার ১৭০, মৃত ২৯ এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ১ শিশু। পটুয়াখালী জেলায় ৬ হাজার ৪৮৩ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ৩ হাজার ৬৯৩। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ১ হাজার ৪৫৯, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২ হাজার ১৮১, জন্ম হয়েছে ৩ হাজার ৭২৭ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ৩ হাজার ৬১১, মৃত ১১৬, মারা গেছেন ৫ মা এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ১৬ শিশু। বাগেরহাট জেলায় ৫ হাজার ২০ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ৩ হাজার ৮৯৮ জন। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ২ হাজার ৪২২ জন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৬৭, জন্ম হয়েছে ৩ হাজার ৯৯১ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ৩ হাজার ৮৭০, মৃত ১২১, মারা গেছেন ৬ মা এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ৯ শিশু। সাতক্ষীরা জেলায় ৭ হাজার ৬১ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ৫ হাজার ৫৮২। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ২ হাজার ৯৮, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৪৫, জন্ম হয়েছে ৫ হাজার ৬১৭ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ৫ হাজার ৪৭৮, মৃত ১৩৯, মারা গেছেন ৮ মা এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ১১৭ শিশু। চিটাগাং জেলায় ২১ হাজার ৫৯ জন গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ১৮ হাজার ৩৩১। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬১, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৪ হাজার ৪৪১, জন্ম হয়েছে ১৮ হাজার ৪১২ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ১৭ হাজার ৮৭৯, মৃত ৫৩৩, মারা গেছেন ২০৭ মা এবং ০-৭ দিন বয়সী মারা গেছে ১২ শিশু। কক্সবাজার জেলায় ৭ হাজার ৭৫০ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ৫ হাজার ২ শত ৪১। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ২ হাজার ৮২, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০, জন্ম হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৩ শিশু। তাদের মধ্যে জীবিত ৫ হাজার ১১২, মৃত ২৬১, মারা গেছেন ১১ মা এবং ০-৭দিন বয়সী মারা গেছে ১ শিশু। সন্দ্বীপ উপজেলায় ২৭ গর্ভবতী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন ২৫। তারা সবাই স্বাভাবিক এবং জীবিত সন্তান প্রসব করেছেন।
স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন পৌর এলাকাতে রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো সমস্যার জন্য হাসপাতালে যেতে পারছে না অনেক নারী। হাসপাতালে পৌঁছালেও ডাক্তার না থাকার কারণে মিলছে না চিকিৎসাসেবা। আবার অনেকে পুরুষ ডাক্তারের হাতে প্রসব করাতেও রাজি হয় না। এমনকি তারা মেয়েদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যাপারেও বাঁধা প্রদান করেন। গ্রামীণ জনপদ ও চরাঞ্চলের অবস্থা আরো খারাপ। এসব জায়গায় নেই কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র। থাকলেও সেখানে ডাক্তাররা থাকতে চান না। কেউ অসুস্থ হলে স্থানীয় ওঝা, ফকির বা হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। এসব এলাকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা থাকেন পৌর এলাকায়। এনজিও-গুলোও শহর এলাকায় কাজ করে। ঔষুধ দোকানদারই এখানে ‘ডাক্তার’ নামে পরিচিত। নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে ঘটছে জনবিস্ফোরণ, বাড়ছে মা ও শিশুর মৃত্যু। শহর এলাকার অবস্থা যে খুব ভালো তাও বলা যায় না। কারণ শহরে স্বাস্থ্যসেবা অনেকটাই বাজারমুখি, ব্যবসাকেন্দ্রিক ও মুনাফাঁসর্বস্ব। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা চড়া দামে কিনতে হয়। শহরের অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী দরিদ্র ও শ্রমিক শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত। এদের পক্ষে ক্লিনিক বা দামী হাসপাতাল থেকে গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নেয়া কঠিন।
কর্মজীবি নারীদের সমস্যাও প্রকট। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, মেয়েদের কমপক্ষে ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রয়োজন। সরকার ছয়মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি বরাদ্দ করেছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে মায়েরা এখনোও ছুটি থেকে বঞ্চিত। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ছুটি দেয়া হচ্ছে বটে, কিন্তু বেতন মিলছে না। বিশেষ করে নারীশ্রমিকদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-এর মতে গার্মেন্টসে কমর্রত ২০ লাখ নারী শ্রমিক নির্দিষ্ট মাতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছে না। ছুটি না পাওয়ায় সন্তান প্রসবের আগে ও পরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারীদের। এছাড়া গর্ভাবস্থায় কর্মজীবী নারীদের বিশেষ করে নারীশ্রমিকদের অনেক ঝুকিঁপূর্ণ কাজ করতে হয়। ফলে ঝুকিঁপূর্ণ হচ্ছে মা ও সন্তানের জীবন।
মাতৃমৃত্যু রোধে বিদ্যমান সেবাগুলোর মাধ্যমে শিশু জন্মের পর প্রাথমিক ও অত্যাবশ্যকীয় পরিচর্যা, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর কৌশল দ্রুততর ও সহজ করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া ঝুকিঁপূর্ণ গর্ভ চিহ্ণিতকরণ, টিটি টিকা দান, আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট বিতরণসহ কতিপয় জটিলতা যেমন প্রি-এক্লাম্পশিয়া শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। গর্ভকালীন প্রসব ও প্রসব পরবর্তী জটিলতা রোধে পুরুষদের সম্পৃক্ততা একটি জরুরি বিষয়। অনেকে মাতৃস্বাস্থ্যের সব বিষয়কে নারীর সাথে সম্পৃক্ত বলে মনে করে। এটা মোটেই কাম্য নয়। এর পরিবর্তন হওয়া দরকার।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, মাতৃমৃত্যুর হার বর্তমানের ৩.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০২১ সালে ১.৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে।
মা হলেন জননী, জন্মদাত্রী, স্তন্যদায়ী, পালনকর্ত্রী। মায়ের সুস্থতার উপর নিভর্র করে সন্তানের নিরাপদ জন্ম, সুস্থ জীবন। তাই মায়ের স্বাস্থ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ স্বাস্থ্য মায়ের অধিকার। আর এ অধিকার আদায়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সমাজ সচেতন সবাইকেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
এজন্য নারীদের মধ্যে শিক্ষা বাড়াতে হবে, চিকিৎসা সেবা সবার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে হবে, বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। আর এই সকল ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলকে প্রাধান্য দিতে হবে, কেননা গ্রামই সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। সরকার এবং দেশের সকল জনগণের মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই মায়ের মাতৃত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। অচিরেই আমরা আমাদের দেশের ভবিষৎ মায়েদের জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পারবো এই হোক আন্তর্জাতিক নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের একান্ত কামনা।