• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর-মানবতাবিরোধীদের শাস্তিতে ইইউ উদ্বিগ্ন কেন?


প্রকাশিত: ৩:১২ এএম, ৩১ অক্টোবর ১৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৭ বার

 


PMস্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চলছে। যুদ্ধে যারা বাংলাদেশের নারী-পুরুষকে হত্যা করল, গ্রামের গ্রামের পর জ্বালিয়ে দিল, তাদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। মানবতাবিরোধীদের শাস্তি দিলেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উদ্বেগ প্রকাশ করে। ১৯৭১ সালে মানুষ হত্যা করে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নাই। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের পক্ষে তাঁরা (ইইউ) উদ্বেগ প্রকাশ করেন কীভাবে।’ এ সময় প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের ইসরায়েল হত্যা করে তখন ইইউর মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগ কোথায় ছিল?’
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ইইউর উদ্বেগের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রশ্ন তোলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরব-আমিরাত সফর ব্যর্থ, বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্রতি পদে পদে ব্যর্থ, তারা এমনভাবেই সবকিছুকে দেখবে। তারা তো বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়েছিল। তারা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে এমন কথা বলছে।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিলাম

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তারা নির্বাচনে অংশ তো নেয়নি বরং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন না হলে কী হতো? ১/১১-এর ধাক্কা তো এর আগে সামলাতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচন যখন হয়েছে আরেকটি নির্বাচনও হবে, আর সেটা নির্দিষ্ট সময়েই হবে। কে কী বুঝল, তাতে কিছু আসে–যায় না। যেকোনো সময় নির্বাচন দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকে। যে যার মতো যা বুঝতে চায়, বুঝে নিক। আমি তো বুঝিয়ে দিতে পারব না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করে। এর আগে কোনো সরকারই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেনি। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আমরাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলাম।’

জমি বিক্রি করে বিদেশ না গিয়ে সেই টাকায় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে।