• মঙ্গলবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রভাবিত হয় দুদকের মামলা


প্রকাশিত: ৩:৫৫ এএম, ১১ নভেম্বর ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার

 

 dudokস্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা প্রভাবিত হতে পারে। তবে এ সংখ্যা ২-৩ শতাংশ হবে। গতকাল সোমবার দুদকের মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম এইচ সালাহ্উদ্দিন এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

২০১৩ সালে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে সংস্থাটির তিন হাজার ৬০০ মামলা আদালতে বিচারাধীন। এই সময়ে আরও দুই হাজার ৯১৮টি নতুন মামলা হয়েছে। এই হিসাবে সংস্থাটির কমপক্ষে ১৩০টি মামলা প্রভাবিত হতে পারে।

রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়, দুদক, তথ্য কমিশন ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে এ যৌথ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল সিএজি কার্যালয়।
এম এইচ সালাহ্উদ্দিন বলেন, দুদক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নয়, এর কিছু মৌলিক দুর্বলতা আছে।

এর প্রসিকিউশন দুর্বল, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা নেই। দুদকের খুব কম সংখ্যক মামলা প্রভাবিত হতে পারে, তবে এ সংখ্যা বড়জোর ২-৩ শতাংশ হবে। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ তদন্তের সময় অনেকে

এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে কোনো ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের দোহাই দিয়ে ক্ষমতার চর্চা করে, হুমকিও দেয়। গণমাধ্যম চেষ্টা করে দুদককে সাহায্য করতে, কিন্তু ক্ষতিও কম করে না। অনেকে ভাসা ভাসা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করেন, যা দুদকের জন্য মর্যাদাহানিকর হয়ে যায়। অনেক সাংবাদিক তদন্ত নথিভুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য চান।

সভায় একাধিক আলোচক বলেন, সাংবাদিকেরা অনেক সময় তথ্যের জন্য চাপ দেন। তবে এ বিষয়ে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের এভাবে দোষারোপ করা ঠিক নয়। খবর বের করে আনা তাঁদের কাজ। সেটা করতে গিয়ে যদি তথ্যের জন্য চার্জ করা মনে হয়, সে জন্য তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। তথ্য প্রদানকারীর কাজ নিজেদের সীমারেখা বুঝে তথ্য দেওয়া। তবে এটা ঠিক, তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি আছে।

মাসুদ আহমেদ আরও বলেন, তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকবে, তার পরও মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট থাকার পরেও যেহেতু তথ্য অধিকার আইন হয়েছে, তাতে বুঝতে হবে, সমাজের চাহিদা আছে বলেই এই পরিবর্তন আসছে।

মতবিনিময়ে দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজনৈতিক অঙ্গীকার আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্নীতি কমবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।
প্

রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক বলেন, দুদক ও সিএজি তাদের তথ্য প্রদানের নীতিমালা অনুসারে কাজ করতে পারে।
মতবিনিময় সভায় অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, তথ্য দেওয়ার সীমারেখা কতটুকু, তা নির্ধারণ করা খুবই জরুরি।

সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সব আমলাতন্ত্রেই তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আছে। দুদকের কাজের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ের প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রতিরক্ষা অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাছেত খান, তথ্য কমিশনার খুরশীদা বেগম, তথ্য কমিশনের সচিব মো. ফরহাদ হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহাব এনাম খান প্রমুখ।