‘প্রভাবশালী বাঁচাতে মিন্নিকে ফাঁসানো হয়েছে’
বরগুনা প্রতিনিধি : ‘প্রভাবশালীদের বাঁচাতে মিন্নিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। তিনি বলেন, মিন্নিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে ।এমন অভিযোগ করে মিন্নির বাবা বলেন, প্রভাবশালী মহলকে বাঁচাতে পুলিশ আমার মেয়ে মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে। তাই এ মামলার তদন্ত পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন জানান তিনি।
এদিকে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে রিফাত শরীফ হত্যার পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। বুধবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, ছোট বোন ছামিরা মেঘলা ও ছোট ভাই আবদুল মুহিত ক্বাফি উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে রিফাতের সঙ্গে বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার বিষয়টি সামসুন্নার খুকি তার বোনের ছেলে দুই রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে নালিশ করেন।যেদিন হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়, সেদিন রিফাত ও রিশান ফরাজী বলেছিল, ‘তুই আমার মাকে গালাগাল করেছিস। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল।’
রিফাত ও রিশান ফরাজী সামসুন্নাহার খুকিকে মা বলে ডাকতেন জানিয়ে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমার ধারণা বাকবিতণ্ডার প্রতিশোধ নিতেই রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে ও হত্যাকাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে।’সামসুন্নাহার খুকির সঙ্গে রিফাত শরীফের বাকবিতণ্ডার বিষয়টি রিফাত শরীফ ও মিন্নি তাকে জানিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।