প্রধান শিক্ষিকার শরীরে হাত দিল যশোর শিক্ষা বোর্ডের নারীবাজ হাবিব
যশোর প্রতিনিধি : প্রধান শিক্ষিকার শরীরে হাত দিল যশোর শিক্ষা বোর্ডে এক নারীবাজ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার এই ঘটনা এটাই প্রথম নয়।এর আগেও তিনি এমন কাজ করেছেন।কিন্তু সবাই লোকলজ্জায় চেপে যাওয়ায় নারীবাজ হাবিব পার পেয়ে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ করা হয়েছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডে কাজে আসা এক প্রধান শিক্ষিকাকে বোর্ড অভ্যন্তরে এক কর্মকর্তা কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানি করেছেন। অভিযুক্ত প্রোগ্রামার হাবিবুর রহমানের বিচার চেয়ে মঙ্গলবার বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন চুয়াডাঙ্গার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মজিদ বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি স্পর্শকাতর।তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বোর্ড সূত্রের খবর, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকার এক প্রধান শিক্ষিকা গত ৮ আগস্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রশ্ন আপলোড ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে আসেন।
এদিন ট্রেনিং শেষে তিনি এ সংক্রান্ত একটি সমস্যা নিয়ে প্রথমে উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে কামাল হোসেনের পরামর্শে প্রোগ্রামার হাবিবুর রহমানের কক্ষে যান।হাবিবুর রহমানকে ওই শিক্ষিকা সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। এক পর্যায়ে তার হাত চেপে ধরেন। এ সময় হাবিবুর রহমান শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং রাতে তার বাসায় থাকার প্রস্তাব দেন।
এক পর্যায়ে কৌশলে ওই শিক্ষিকার হাবিবুর রহমানের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরার জন্য ওইদিন তিনি কাউকে কিছু বলেননি।মঙ্গলবার ওই শিক্ষিকা এ ঘটনা উল্লেখ করে বোর্ড চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়ে হাবিবুর রহমানের বিচার চেয়েছেন, যার অনুলিপি এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রোগ্রামার হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে শিক্ষা বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ঘটনা চেপে যাওয়ায় তার কোনো শাস্তি হয়নি।