• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণে সহকারী শিক্ষিকা সংজ্ঞাহীন


প্রকাশিত: ৩:০৬ এএম, ২১ মে ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮০ বার

কুষ্ঠিয়া প্রতিনিধি   :   মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মী কে ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসেছেন =এলাকাবাসী। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে এলাকায় ঝাড়ু মিছিল করেছেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই স্কুলের প্রধান শিক্-ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে এলাকার বিক্ষুব্ধ শত শত নারী-পুরুষ অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু হাতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রতিবাদের মুখে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এক জরুরি সভায় মিলিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলে বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফিরে যান।

জানা গেছে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম তারই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করলে এলাকায় প্রতিবাদের এ ঝড় ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুজিবনগর উপজেলার আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন খ্রিস্টান ধর্মীয় শিক্ষিকা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে কুষ্টিয়া যান। সাথে যান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। কুষ্টিয়া শহরের আল আমিন হোটেলে পাশাপাশি দুটি কক্ষে রাতযাপন করেন তারা।

পরদিন শুক্রবার ভোরে প্রধান শিক্ষক সাবজেক্ট দেয়ার নাম করে দরজা খুলতে বললে ওই শিক্ষিকা দরজা খুলে দেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন বলে ভিক্টিমের অভিযোগ।

ভিক্টিম জানান, ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ওষুধ কোম্পানির এক প্রতিনিধির সাহায্যে ওই নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। এর পরে ভয়ভীতি দেখানো হলে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান নির্যাতিতা শিক্ষিকা।

এদিকে শনিবার রাতে আবারো কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী। বর্তমানে শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

পাশাপাশি সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্যাতিতা ওই শিক্ষিকা নিজেই বাদী হয়ে রোববার কুষ্টিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।

এর পর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড়। আন্দোলনমুখর হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে থানা পুলিশ।