প্রধানমন্ত্রীর বোনের স্বামীর উষ্মা!
স্টাফ রিপোর্টার : সংসদে নিয়ে শেখ রেহানা’র স্বামী’র উষ্মা-জাতীয় সংসদে বিতর্ক হয় না বরং গালাগালি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার স্বামী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সফিক আহমেদ সিদ্দিক। শনিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) আন্তঃবিভাগ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
চূড়ান্ত পর্বের সংসদীয় বিতর্ক শেষ হওয়ার পর দেয়া বক্তব্যে অধ্যাপক সফিক বলেন, “আমি যখন ডিবেট শুনছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল আমরা দুধের সাধ ঘোলে মিটাচ্ছি। আমাদের পার্লামেন্টে কোনো ডিবেট হয় না, গালাগালি হয়। প্রপার অপজিশন না থাকলে ডিবেট হবে কেমনে?”
বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক উপদেষ্টা কমিটির এ আহ্বায়ক বলেন, “তোমরা শিখবা কী করে? পার্লামেন্টে সরকারি দল থাকলে বিরোধী দল থাকে না। বিরোধী দল থাকলে সরকারি দল থাকে না।”আগামী সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলই থাকবে এবং তাদের মাধ্যমে বিতার্কিকরা বিতর্ক শিখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার স্বামী অধ্যাপক সফিক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির’ চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, “জিপিএ ৫ পাওয়ার প্রবণতা শিক্ষার গুণগত মানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে গিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার হিমশিম খাচ্ছে।”স্কুলের খরচের পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াতে এক রকম বাধ্য হয়ে খরচের চাপে পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
“সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর গড়ে দুই লক্ষাধিক গ্র্যাজুয়েট বের হলেও সবার কর্মসংস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ দেশে বিভিন্ন পেশায় ৫ লাখ বিদেশি কর্মরত রয়েছে। সেকারণে প্রশ্ন উঠছে উচ্চশিক্ষা খাতে বিনিয়োগ এবং জাতীয় উন্নয়নে অবদান যথাযথ হচ্ছে কিনা।”
এর প্রধান কারণ হিসেবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ ও লেখাপড়ার মানকে দায়ী করেন হাসান আহমেদ।৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিষয় ছিল, ‘গুণগত শিক্ষার অভাব দেশের বেকার সমস্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ’। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল ইংরেজি বিভাগকে হারিয়ে জয়ী হয় বিরোধী দল কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। আর শ্রেষ্ঠ বক্তা হন বিরোধী দলের প্রধান বক্তা তানজিলা আহমেদ।
বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম আবু সালেহের সভাপতিত্বে চূড়ান্ত পর্বের এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ মো. এনায়েত হোসেন মিয়া, প্রক্টর মিঞা লুৎফার রহমান, ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর মো. সাব্বীর আহমেদ, ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।