প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতা’র আসামীরা সাধু?
রুবেল হোসেন : প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতা’র আসামীরা ধোঁয়া তুলসিপাতা? ওদের কোন দোষ নেই? ওরা কোন অপরাধ করেনি? শুধু শুধু ওদের আসামি করা হয়েছিল?? পুলিশের তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতা’র আসামীরা সাধু বনেছে ??
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সব আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ফাইনাল রিপোর্ট (এফআরটি) দাখিল করা হয়েছে।হঠাৎ কিভাবে আসামী ধোঁয়া তুলসিপাতা হয়ে গেল তা নিয়ে তোলপাড় চলছে বিমানে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই এফআরটি দাখিল করেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিন এই এফআরটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ঠ আদালত জাতিরকন্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে (বোয়িং-৭৭৭) যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
এ কারণে তুর্কমেনিস্থানে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিতক ত্রুটির ওই ঘটনায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রাতে সংস্থার পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
দন্ডবিধির ১০৯, ১১৮, ১২০ (খ), ২৮৭ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দাখিল করা এফআরটিতে মোট ১১ আসামির কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের সবাইকেই অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকেৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) এসএ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন, বিমানের টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম।
আসামিদের প্রত্যেককেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মাহবুবুল আলম মামলাটি তদন্ত করেছেন।