প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি’র নেপথ্য টার্গেটে হাসিনা?
শফিক রহমান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি’র ঘটনাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, নানা কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশী বিদেশী স্বার্থান্বেষী চক্রের টার্গেট তিনি। এই চক্রটি চায় না ডিজিটাল বাংলাদেশ, এই চক্রটি চায়না বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হোক এবং এই চক্রটি দেশ অসম্ভব গতিতে এগিয়ে যাক সেটা ঘুনাক্ষরেও চায়না।
এটাই ওদের চক্ষুসূল। ফলে একের পর এক টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা উড়োজাহাজ কিনলেই সব সমস্যা শেষ হয়ে যাবেনা।আগে চিহ্নিত করতে হবে নেপথ্য নায়করা কারা? এরপর এদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।একই সাথে এদের সঙ্গের চক্রটিরও শাস্তি দিতে হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে এবার তোপের মুখে পড়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সম্পর্কে সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের পাইলট শাহজালালে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়েতে রহস্যজনক কিছু দেখে আকাশে বেশ কিছু সময় চক্কর দেয়।
এদিকে হাঙ্গেরি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা উড়োজাহাজ কেনার কথা বলেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে মেনন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ এয়ারক্রাফট কেনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। শিগগিরই কেনা হবে।রোববার হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। তবে পরে মেরামত শেষে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমানটি হাঙ্গেরি পৌঁছায়।
এ ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে ত্রুটির ঘটনা নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে তোপের মুখে পড়েন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ‘কমিটি গভীরভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার সময়ে রানওয়েতে একটি ঘটনা ঘটেছিল।
আমরা জানতে চেয়েছিলাম, সেই ঘটনায় যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যে ধরনের ইরেসপনসিবল বিহেভিয়ার করা হয়েছে, তাতে আরও পানিশমেন্ট দেওয়া উচিত ছিল।’
গত জুন মাসে সৌদি আরব থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের আগ মুহূর্তে পাইলট রানওয়েতে কিছু দেখতে পেয়ে বেশ কিছু সময় আকাশে চক্কর দেন।
একই বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমাকেও দায়ী করে কথা বলেছেন। এতে লজ্জার কিছু নেই।ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মো. আলী আশরাফ ও তানভীর ইমাম অংশ নেন।