প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলা গড়তে জিপি’র ফান্ডস্টার্টারে কাজ করবে অমিকন গ্রুপ
বিশেষ প্রতিনিধি : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবার গ্রামীণফোনের হোয়াইটবোর্ড এর ফান্ডস্টার্টার প্লাটফর্মে কাজ করবে অমিক
গ্রুপ। গ্রামীনফোনের স্টার্টআপগুলো (অ্যাপ, গেম ও ওয়েব) একসাথে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করছে গ্রুপটি। এলক্ষ্যে অমিকন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, পরিচালক দোলা হাসান এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গ্রামীণফোন ভবনে উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।এসময় তাঁরা ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান এর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
এদিকে রোববার জিপিহাউজে ‘ফান্ডস্টার্টার’ অনুষ্ঠানে মোবাইল অ্যাপ ও মোবাইল গেমস নিয়ে কাজ করা আটটি স্টার্টআপ নির্মাতাদের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয় নিয়ে কথা বলেন অমিকন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ও পরিচালক দোলা হাসান।
এসময় জিপিহাউজে ‘ফান্ডস্টার্টার’ অনুষ্ঠানে’র প্রধান অতিথি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে তাঁদের নানা পরিকল্পনার কথা জানান অমিকন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, পরিচালক দোলা হাসান।
গ্রামীনফোন কর্মকর্তারা জানান, ‘ফান্ডস্টার্টার’ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপগুলো (অ্যাপ, গেম ও ওয়েব) একসাথে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে। ‘ফান্ডস্টার্টার’ উদ্যোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান।
তিনি বলেন, ‘কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাছাই করা স্টার্ট- আপগুলোকে বিনিয়োগকারীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হলো আমাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য। আমরা এ আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।’‘ফান্ডস্টার্টার’ উদ্যোগ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে বলে প্রত্যাশার কথা জানান গ্রামীণফোনের এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ফান্ডস্টার্টারে ‘ধারণা’ (আইডিয়া) উপস্থাপনের জন্য গত ৬ ডিসেম্বর একশর বেশি স্টার্টআপের আবেদন যাচাই করে দেখা হয়। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে আটটি স্টার্টআপকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ধারণা উপস্থাপনের জন্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলোকে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রে প্রস্তুত করে তুলতে একটি বুট ক্যাম্পও অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ‘ফান্ডস্টার্টার’ এর প্রথম আয়োজনে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান মাইন্ডফিশার গেমস, দূরবীন একাডেমি, মেঘদূত, খাসফুড, ট্রাক লাগবে, রেপ্টো, ব্যাংককম্পেয়ারবিডি এবং ডকটোরোলা বিনিয়োগকারীদের সামনে তাদের ধারণা উপস্থাপন করে। ধারণা উপস্থাপন অনুষ্ঠানের পর একটি নেটওয়ার্কিং সেশনও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিনিয়োগকারীরা স্টার্টআপগুলোর স্টল থেকে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন এবং ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ততার জন্য নিজেরা পরিচিত হয়ে নেন।এদিন বিনিয়োগকারী হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক, এফএমসিজি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্টার্টআপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তাদের উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “ডিজিটালাইজেশন সমাজে একটি সমতা আনয়নকারী এবং গ্রামীণফোন এই ক্ষেত্রে একটি পথিকৃত। আমাদের সরকার অর্থনীতিতে ডিজিটালাইজেশনের ভূমিকার গুরুত্ব বোঝে; গ্রামীণফোনও তার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নতি চায়, কারণ এদের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি।”
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে স্টার্টআপদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন গ্রামীণফোন সিই্ও মাইকেল ফোলি।তিনি বলেন, “ডিজিটাল বিপ্লব, টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য অস্তিত্বের চযালেঞ্জ; এবং আমরা ডিজিটাল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক থাকতে একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এসব উদ্যোক্তার দিকে তাকিয়ে আছি।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গ্রামীণফোনের হেড অব ট্রান্সফরমেশন কাজী মাহবুব, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজার টিনা জাবিন উপস্থিত ছিলেন।