• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

রত্না থেকে শাবানা’র-আজীবন সম্মাননা;মঞ্চে এলেন হাসলেন এবং কাঁদালেন!


প্রকাশিত: ৭:৫২ পিএম, ২৪ জুলাই ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩০ বার

বিনোদন রিপোর্টার :  রত্না থেকে শাবানা অতঃপর-আজীবন সম্মাননা পাওয়া বরেণ্য চিত্রনায়িকা শাবানা মঞ্চে এলেন হাসলেন এবং Shabana.www.jatirkhantha.com.bd.001কাঁদালেন! আজ সোমবার ডায়াসে দাঁড়িয়ে হাসলেন তিনি। শাবানা বললেন-প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাধারা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের সিনেমা বিশ্বরূপ লাভ করবেই।

দীর্ঘদিন পর্দার  বাইরে থাকা প্রিয় অভিনেত্রীকে সামনে থেকে দেখে চলচ্চিত্র সহকর্মীবৃন্দ করতালির মাধ্যমে তার আগমনকে স্বাগত জানান। শুরুতে আজীবন সম্মাননা পাওয়ায় চলচ্চিত্র পরিচালক, সহকর্মী ও দর্শকদের সালাম ও শুভেচ্ছা জানালেন। নির্মাতা, সহকর্মী ও দর্শকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলেন তার অর্জন, যাদের জন্য রত্না থেকে তিনি শাবানা হতে পেরেছেন।
film award-www.jatirkhantha.com.bd
আজ ২৪ জুলাই সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র থেকে  ২৫ ক্যাটাগরিতে ৩১ জনকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এতে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা শাবানা ও সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান।

সেখানেই শাবানা আজীবন সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে আসেন ভুবন ভোলানো হাসি নিয়ে। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে সহকর্মী ও দর্শকদের খুব মিস করেন। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভাবনে তাকে প্রথম দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’হাত বাড়িয়ে বুকে টেনে নিলে শাবানা তার শিল্পী সত্তাকে নতুন করে অনুভব করেন। সে ঘটনা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শাবানা। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, আমি ভাবছিলাম, তিনি ব্যক্তি শাবানাকে নয়, সম্মান জানালেন শিল্পী শাবানাকে। যেই প্রধানমন্ত্রী শিল্পের কদর করতে জানেন। তিনি একজন অসুস্থ পরিচালককে চিকিৎসার জন্য উদার মনে এগিয়ে আসেন।’
Shabana.www.jatirkhantha.com.bd.-----------
শাবানা বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই চলচ্চিত্রের করুণ অবস্থার অবসান হবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইবার কিছু নেই। তিনি চলচ্চিত্রের সংকট জানেন। উড়াল সড়কের দেশে, মেট্রো রেলের দেশে, পদ্মা সেতুর দেশে তার হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই চলচ্চিত্র নতুন করে গতি লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাধারা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের সিনেমা বিশ্বরূপ লাভ করবে।’

১৯৫২ সালের ১৫ জুন চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন শাবানা। নতুন সুর চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে পা রাখা শাবানা ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। যার অধিকাংশই পায় বিপুল দর্শকপ্রিয়তা। ঘরে ঘরে যুদ্ধ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালে তিনি অবসরে যান। এরপর থেকে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে।

একনজরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০১৫

আজীবন সম্মাননা : অভিনেত্রী শাবানা ও সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : যৌথভাবে বাপজানের বায়োস্কোপ (পরিচালক-রিয়াজুল মওলা রিজু) ও অনিল বাগচীর একদিন (পরিচালক-মোরশেদুল ইসলাম)।

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর)।

শ্রেষ্ঠ পরিচালক(যৌথ) : যৌথভাবে মোরশেদুল ইসলাম (অনিল বাগচীর একদিন) ও রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র(যৌথ) : শাকিব খান (চলচ্চিত্র-আরো ভালোবাসবো তোমায়) ও মাহফুজ আহমেদ (জিরো ডিগ্রি)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : জয়া আহসান (চলচ্চিত্র-জিরো ডিগ্রি)।

পার্শ্ব- চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : গাজী রাকায়েত (চলচ্চিত্র-অনিল বাগচীর একদিন)।

পার্শ্ব- চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : তমা মির্জা (চলচ্চিত্র: নদীজন)।

খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : ইরেশ যাকের (চলচ্চিত্র : ছুঁয়ে দিলে মন)।

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : যারা যারিব (প্রার্থনা)

শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : প্রমিয়া রহমান (চলচ্চিত্র-প্রার্থনা)।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : সানী জুবায়ের (চলচ্চিত্র : অনিল বাগচীর একদিন)।

শ্রেষ্ঠ গীতিকার : আমিরুল ইসলাম (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র : বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ সুরকার : এসআই টুটুল (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র-বাপজানের বায়েস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী : প্রিয়াংকা গোপ (আমার সুখ সে তো, চলচ্চিত্র: অনিল বাগচীর একদিন)

শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুম রেজা : (বাপজানের বায়েস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : যৌথভাবে মাসুম রেজা (বাপজানের বায়োস্কোপ) ও রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচিয়তা : হুমায়ূন আহমেদ (অনিল বাগচীর একদিন)।

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : মেহেদী রনি (বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ শিল্প-নির্দেশক : সামুরাই মারুফ (জিরো ডিগ্রি)।

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : মাহফুজুর রহমান খান (পদ্ম পাতার জল)।

শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রতন কুমার পাল (জিরো ডিগ্রি)।

শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : মুসকান সুমাইকা (পদ্ম পাতার জল)।

শ্রেষ্ঠ মেক-আপ : ম্যান শফিক (জালালের গল্প)।