‘প্রধানমন্ত্রীর আহবানে আর্ত মানবতায় শিল্পপতি বিপ্লব’
লাবণ্য চৌধুরী : মানুষ মানুষের জন্যে জীবন জীবনের জন্যে একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না…ভূপেন হাজারিকার সেই কালজয়ী কন্ঠে যে ধ্বণি উচ্চারিত হয়েছিল তাই কর্মজীবনে লালন পালন করে চলেছেন তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা মোঃ মেহেদি হাসান বিপ্লব। নিপিড়িত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা, ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা, ঘরহীন মানুষকে ঘর করে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া, চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়াসহ মানুষের উপকার করেই আনন্দ পান তিনি।
তরুণ এ শিল্পপতি করোনা মহামারীর এই সময়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করে চলেছেন অবিরত। মানুষ যখন করেনার নাম শুনলে ভয় পেত ঠিক তখন তিনি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে পিপিই-মাস্ক বিতরণ করে এসেছেন। গ্রামের মসজিদের ইমাম আর মন্দিরের সেবায়েতদের দিয়েছেন বিশেষ উপহার। গত রমজানে এলাকার মধ্যবিত্ত আর নিম্ন-মধ্যবিত্তদের দিয়েছেন রমজানের উপহারও। উচ্চ শিক্ষার জন্যে ছাত্র-ছাত্রীদের নগদ টাকাসহ হোস্টেল খরচও তিনি দিচ্ছেন নিঃস্বার্থভাবে।
এভাবে একের পর এক মানবিক কাজের পর আরেকটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ’র ডিএমডি মোঃ মেহেদি হাসান বিপ্লব।
মহামারীর এই সময়ে খাদ্য সংকট দুর করতে তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার বালুটিলা এবং পার্শ্ববর্তী বাগান বাজার ইউনিয়নের উদায় পাথর এলাকার জমিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে শাক সবজী চাষ করে ফ্রি বিতরণ করছেন। এ কার্যক্রমে তিনি এলাকায় অনেক জমি কিনে ভূমিহীন কর্মহীনদের কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।
এ কার্যক্রমে এগিয়ে এসে এলাকার অনেকেই তাদের জমি স্বল্প দামে বিক্রি করেছেন; অনেকে সব্জী উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করার সম্মতি দিয়েছেন। শিল্পপতি মেহেদি হাসানের নিজ খরচে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর্থিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তিনি গরিব এবং কর্মহীন কৃষকদেরকে এতে সম্পৃক্ত করেছেন।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের এক ইঞ্চি মাটি যাতে খালি বা অনাবাদি না থাকে সে চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে এমন শংকায় তিনি সবজী উৎপাদন করে স্থানীয়দের মাঝে বিনামূল্যে বিতরন করছেন বলে জানান এই তরুণ শিল্পপতি। তিনি বলেন, ফটিকছড়িতে আমার জন্ম তাই এই এলাকার মাটি ও মানুষের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।