• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিমন্ত্রী বললেন-আবাসিকে গ্যাস সমস্যা থাকবে-আমরা শিল্পে গ্যাস দিব


প্রকাশিত: ১:৫৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারী ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

bipu-www.jatirkhantha.com.bdবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘আবাসিক খাতে গ্যাসের যে সমস্যা, আমি আগেই বলেছি যে এ সমস্যা থাকবে। আমরা চাচ্ছি—আপনারা যাঁরা আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করছেন, তাঁরা ধীরে ধীরে এলপিজিতে চলে যান। কারণ, এলপিজি এখন অ্যাপার্টমেন্টে ব্যবহার করা যায়।’

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবন মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে নবায়নযোগ্য শক্তি: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—শিল্প এলাকায় প্রথমে গ্যাস সরবরাহ করা। আমরা সেদিকে ধাবিত হচ্ছি। আমরা চাচ্ছি যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ যেন হয়। সেখানে যেন গ্যাস পাওয়া যায়।’

আবাসিকের চেয়ে শিল্পকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা সেটা বলতে চাচ্ছি না। তবে পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তনটা কাজে লাগান। এলপিজি যেন সবার জন্য সাশ্রয়ী হয় এবং দাম যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে; সরকার সে চেষ্টা করছে। আগামী তিন বছরে আমরা চাচ্ছি, আবাসিকের ৭০ শতাংশ যেন এলপিজিতে চলে।’

শিল্প মালিকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন গ্যাসের চাপ কম। তবে আপনাদের যে পরিমাণ গ্যাস দরকার, আমরা তা দেব। হয়তো চার-পাঁচ মাস সময় লাগতে পারে।’

শিল্প খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আবাসিকে গ্যাসের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, মাত্র দু-একটি শহর দিয়ে বাংলাদেশকে বিচার করা যায় না। দেশের বেশির ভাগ মানুষ এলপিজিতে চলে। গ্যাসের চলমান সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, পাইপলাইনে সমস্যা আছে। ঠিক হতে তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে।

এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে তিন দিনের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শক্তি ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহতাশেম হোসাইন, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের এ দেশীয় প্রতিনিধি হাসিন জাহান, সাসটেনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার, শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক সাইফুল হক প্রমুখ।