• বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রতারণা ও জালিয়াতি-অভিশংসনের মুখে ট্রাম্প


প্রকাশিত: ৮:৫১ পিএম, ১১ নভেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৫ বার

আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার  :   প্রতারণা ও জালিয়াতি’র কারণে অভিশংসনের মুখে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোTrump International Hotel Washington, D.C Groundbreaking Ceremonyনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নানা বিতর্কের জন্ম দেয়ায় কেউই যেন তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে পারছেন না।

অনেকেই মনে করছেন, আইনি প্রক্রিয়াতেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা যেতে পারে। তাদেরই একজন আইন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্রিস্টোফার পিটারসন।তার দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

এ দুটি এমন অপরাধ যাতে তাকে অভিশংসন করা যাবে।প্রফেসর পিটারসন বলেন, ট্রাম্পকে যদি সত্যি সত্যি অভিশংসনের মুখোমুখি করা যায়, সেক্ষেত্রে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দেশের নেতৃত্ব দিতে পারেন।

জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলাও আছে।
এরমধ্যে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করা একটি মামলার শুনানি আগামী তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ট্রাম্পের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি গরিব শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসেনি। তিনি একটি প্রোগ্রামের আওতায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার অভিভাবকের কাছ থেকে বড় অংকের ফান্ডও সংগ্রহ করেন।

কিন্তু ২০১০ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেন।এছাড়া ২০১৩ সালে ট্রাম্প তার অনিবন্ধিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বেআইনিভাবে চার কোটি ডলার অনুদান তোলেন। এ অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নিউইয়র্কের সিনেট অ্যাটর্নি জেনারেলের কর্মকর্তা অ্যামি স্পিটালনিক এ মামলাটি করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে এ মামলাটির বিচার চলবে বলে রায় দেন আদালত। অবশ্য এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ট্রাম্প।প্রফেসের পিটারসন দাবি করেন, ট্রাম্প দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে ব্যবসা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু ট্রাম্প এমন কাজটিই করেছেন। এক্ষেত্রে বিস্তর প্রমাণও রয়েছে।’অনেকেই মনে করছেন, এসব মামলায় চরম বেকায়দায় পড়তে পারেন ডোনাল্ড পারেন ট্রাম্প। এমনকি তিনি অভিশংসনের মুখোমুখিও হতে পারেন।