• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

প্রখ্যাত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ আর নেই-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক প্রকাশ


প্রকাশিত: ১:১৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারী ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

altaf mahamud-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে—রাজেউন)। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার এক শোকবার্তায় নের্তৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকতায় আলতাফ মাহমুদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মতো একজন সিনিয়র সাংবাদিকের মৃত্যু দেশের সাংবাদিকতার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।  রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- আলতাফ মাহমুদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান জাতিরকন্ঠকে জানান, শনিবার রাতে হঠাত শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যায়। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।গত ১৪ জানুয়ারি ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আলতাফ মাহমুদ। স্পাইনাল কর্ডে সমস্যার কারণে তার দুই পা অবশ হওয়া ছাড়াও দুই হাতেও শক্তি পাচ্ছিলেন না। গত বৃহস্পতিবার তার  মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

সাপ্তাহিক খবরের মাধ্যমে সত্তরের দশকে সাংবাদিকতায় আসেন আসেন আলতাফ মাহমুদ।পরে সাপ্তাহিক খবর দৈনিকে রুপান্তর হলে তিনি সেখানে দীর্ঘদিন চীফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি কিছুদিন খবরের ব্যবস্থাপনারও দায়িত্ব পালন করেন।এরপর তিনি দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় যোগ দেন। সেখানে তিনি উপ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।

আলতাফ মাহমুদ দীর্ঘ কর্মময় জীবনে রাজনৈতিক বিটে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের জন্ম ইতিহাস, চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠের জনসভায় শেখ হাসিনার ওপর গুলিবর্ষণসহ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আলতাফ মাহমুদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করেছেন ।স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মৃত্যুর আগে বলেছেন, “১৯৭৫ সালে যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপতে গণমাধ্যম যখন ভয় পেত, তখন আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি বুকে নিয়ে সাহস করে সাপ্তাহিক খবরে প্রকাশ করেছিলাম।’’ উল্লেখ্য দৈনিক খবরের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

বিএফইউজে সাবেক সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল জানান, আলতাফ মাহমুদের মরদেহ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নেওয়া হয়। সেখানে জানাযা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে দুপুর ১২টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরও জানান, প্রেসক্লাব থেকে আলতাফ মাহমুদের মরদেহ পটুয়াখালীর গলাচিপায় তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করার বিষয়ে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।