পৌর ভোট-কার হাসি কে হাসে?
বিশেষ প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবারই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থীরা একে অপরের মুখোমুখি হন। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। এরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে রাত ১১টার পর্যন্ত ৮৩টি পৌরসভার নির্বাচনের বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ফলের মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ৬৬টি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ৯টিতে বিজয়ী হয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ৪টিতে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪টিতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
সর্বশেষ পাওয়া ফলাফল-
আওয়ামী লীগ (নৌকা)
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে বদিউল আলম; নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মো. আসাদুল হক ভূঁইয়া; বরিশালের গৌরনদীতে মো. হারিছুর রহমান; রংপুরের বদরগঞ্জে বর্তমান মেয়র উত্তম কুমার সাহা; পাবনার ঈশ্বরদীতে আবুল কালাম আজাদ; জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী; রাজশাহীর ভবানীগঞ্জে আবদুল মালেক মণ্ডল; রাজশাহীর তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ; ভোলার সদরে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান; ভোলার বোরহানউদ্দিনে মো. রফিকুল ইসলাম; ভোলার দৌলতখানে জাকির হোসেন তালুকদার; নওগাঁর নজিপুরে রেজাউল ইসলাম চৌধুরী; মাগুরায় খুরশীদ হায়দার টুটুল; বগুড়ার কাহালুতে হেলাল উদ্দিন কবিরাজ; দিনাজপুরের হাকিমপুরে জামিল হোসেন; সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে আবদুল্লাহ আল পাঠান; সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় এস এম নজরুল ইসলাম; সিরাজগঞ্জ কাজিপুরে নিজামউদ্দিন; সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে হালিমুল হক মিরু; সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে আশানুর বিশ্বাস; পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গোলাম হাসনাইন; ফরিদপুর পৌরসভায় খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ; পাবনার চাটমোহরে মির্জা রেজাউল করিম; পাবনার সুজানগরে আব্দুল ওহাব; পাবনার সাঁথিয়ায় মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক; কুষ্টিয়ার মিরপুরে এনামুল হক; কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সামসুজ্জামান অরুণ; কুষ্টিয়ার খোকসায় তারিকুল ইসলাম; কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শামীমুল ইসলাম ছানা; বরিশাল উজিরপুৎরে মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারী; সিলেটের জকিগঞ্জে খলিল উদ্দিন; ফরিদপুর নগরকান্দায় মো. রায়হান উদ্দিন মিয়া (বর্তমান মেয়র) ; গোপালগঞ্জ সদরে কাজী লিয়াকত হোসেন; নাটোর নলডাঙ্গায় শফি উদ্দিন মন্ডল; নেত্রকোনায় মো. নজরুল ইসলাম খান (২৬৬৬৪ ভোট) ; নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ লতিফর রহমান রতন; নেত্রকোনা কেন্দুয়ায় আসাদুল হক ভূঁইয়া; দুর্গাপুর পৌরসভায় আ. ছালাম; চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ জোবায়ের; বরগুনা পাথরঘাটায় মো. আনোয়ার হোসেন আকন; টাঙ্গাইল সখীপুরে আবু হানিফ আজাদ; কুমিল্লার হোমনায় মো. নজরুল ইসলাম; সুনামগঞ্জ পৌরসভায় মো. আয়ুব বখত জগলুল, সুনামগঞ্জ ছাতকে আবুল কালাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ দিরাইয়ে মোশারফ মিয়া; সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরে আবদুল মনাফ; নাটোর বড়াইগ্রামে আব্দুল বারেক সরকার; কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো. মিজানুর রহমান; কুমিল্লা দাউদকান্দি নাঈম ইউসুফ; কুমিল্লার লাকসাম মো. আবুল খায়ের; কুমিল্লার চান্দিনায় মো. মফিজুল ইসলাম; লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ইসমাইল খোকন; লক্ষ্মীপুর রামগতি এম মেজবাহ উদ্দিন; লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ আবুল খায়ের; শেরপুর শ্রীবরদীতে আবু সাঈদ; শেরপুর নালিতাবাড়ী আবু বকর ছিদ্দিক; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মো. জাফরুল্লাহ; চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শাহজাহান সিকদার; চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে বদিউল আলম; রাজশাহীর আড়ানিতে মুক্তার হোসেন; ফরিদপুরে খন্দকার মো. কামরুজ্জামান; মাগুরায় খুরশিদ হায়দার; ফরিদপুরের নগরকান্দায় আ. লীগের রায়হান উদ্দিন; নোয়াখালীর বসুরহাটে আবদুল কাদের, নোয়াখালী হাতিয়া ইউসুফ আলী; ঢাকার ধামরাই গোলাম কবির।
বিএনপি
পঞ্চগড় পৌরসভার মো. তৌহিদুল ইসলাম; নাটোর গোপালপুরে নজরুল ইসলাম; কুমিল্লা বরুড়ায় জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী; রাজশাহীর নওহাটায় শেখ মকবুল হোসেন।
আ. লীগ বিদ্রোহী
বগুড়ার ধুনট পৌরসভায় এজিএম বাদশাহ; দিনাজুপর বিরামপুরে মো. লিয়াকত আলী সরকার; মেহেরপুর গাংনীতে আশরাফুল ইসলাম; সিলেটের গোলাপগঞ্জে সিরাজুল জব্বার চৌধুরী; সিলেটের কানাইঘাটে মো. নিজাম উদ্দিন; ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মো. মোজাফফার হোসেন মিয়া; নেত্রকোনা মদনে আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম; মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় শফি আলম ইউনুছ; চাটমোহরে রেজাউল করিম।
স্বতন্ত্র
দিনাজপুর বীরগঞ্জে মো. হানিফ (জামায়াত); দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে গোলাম মুরতুজা সরকার; পাবনা পৌরসভায় কামরুল হাসান; নড়াইলে কালিয়ায় (সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত) ফকির মুশফিকুর রহমান।