পুলিশ ভ্যানে টিম ইন্ডিয়া-ধনিদের আনটোল্ড স্টোরি
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে আসমা খন্দকার : ধনিদের আনটোল্ড স্টোরি নিয়ে তোলপাড় চলছে। পুলিশ ভ্যানে তখন টিম ইন্ডিয়া। পুলিশের ভ্যান চলছে উল্কার গতিতে, দুই পাশে সশস্ত্র পাহারা। পেছনে ধেয়ে আসছে টিভি চ্যানেলের গাড়ি, যেকোনোভাবে হোক ওই ভ্যানের কাউকে ক্যামেরাবন্দী করতেই হবে। না, কোনো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামির নয়, ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল ধোনিদেরই। এত দিন পর সেটি বিশদ জানালেন ভারতের অধিনায়ক।
ধোনির জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র এম এস ধোনি: এন আনটোল্ড স্টোরি মুক্তি পাবে আর কদিন পরই। নতুন ছবির প্রচারণায় নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন ধোনি। সেখানেই ৯ বছর আগের ওই স্মৃতি তুলে ধরলেন। রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ওই বিশ্বকাপটা ভুলে যাওয়ার মতোই হয়েছিল ভারতের। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বাদ পড়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই।
ওই সময় ধোনির রাঁচির বাড়িতে ঢিলও পড়েছিল।বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পরের স্মৃতিটা ভুলতে পারেন না ধোনি, দিল্লিতে নামার পর প্রচারমাধ্যম আমাদের একেবারে ছেঁকে ধরেছিল। মানুষ মনে করতে পারে আমাদের আবেগটা সেভাবে ছুঁয়ে যায়নি। কিন্তু আমি সব সময় মনে করি খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে সবকিছুর মধ্য দিয়ে যাওয়ার শক্তি থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে এসে বা মাঠে যা হয়েছে সেটা নিয়ে কান্নাকাটিই সব নয়।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই ধোনিদের ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল, আমাদের একটা পুলিশ ভ্যানে উঠতে হয়েছিল। আমি বসেছিলাম বীরুর (বীরেন্দর শেবাগ) পাশে। প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে আমাদের গাড়ি চলছিল। ভারতের মতো সরু রাস্তায় ওটা অনেক বেশি। মিডিয়ার গাড়ি ছিল আমাদের চারপাশে। এমনভাবে ক্যামেরা ধরে রেখেছিল যেন আমরা বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছি, যেন আমরা খুনি বা সন্ত্রাসী।
আসলে ওরা আমাদের তাড়াই করছিল। এরপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আমরা ১৫-২০ মিনিট পর নিজেদের গাড়িতে উঠলাম। ওই ঘটনা আমার ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলেছিল। আরও ভালো ক্রিকেটার ও ভালো মানুষ হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছি। এরপর ধোনি অধিনায়ক হয়েছেন ভারতের, টপকে গেছেন একের পর এক সিঁড়ি। তবে ওই স্মৃতিটা ভুলতে পারেননি এখনো।