• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পুড়িয়ে হত্যা নারীকে-বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার-খুনী গ্রেফতার-


প্রকাশিত: ১০:১৮ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭ বার

 


আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : অবশেষে আখাউড়ায় হত্যার পর পুড়িয়ে মারা নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে একটি ধানক্ষেত থেকে নিহতের খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ।পরে নিহতের মেয়ে ও স্থানীয়রা ছবি দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। হত্যার শিকার ওই নারী হলেন মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. শারমিন বেগম (৪৭)। তারা উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের শাহনেওয়াজ ভূইয়ার বাড়িতে থাকতেন।

এর আগে ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূইয়ার রহিমপুর গ্রামের নতুন বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়। ওই নারীকে গলা কেটে হত্যার পর দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে দেহ থেকে মাথাটি আলাদা ছিল। এ ঘটনায় শাহনেওয়াজ ভূইয়ার ছেলে ফারহান রনিকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। বসতবাড়ির জায়গা দখল নিতেই ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত শারমিন বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম বিগত ৪০ বছর ধরে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার হীরাপুর গ্রামের একটি জায়গায় মাটির ঘর করে বাস করত। আগে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার বাড়ির কাজকর্ম করতেন ওই নারী। পরে ভিক্ষাবৃত্তি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে দিনাতিপাত করতেন। তাদের তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে সন্তান নেই। গত রাতেও শারমিন বেগম ঘরেই ছিলেন। ভোরে ফারহান রনি তার মা অসুস্থ বলে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর গলা কেটে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গতকাল রাজহাঁস চুরির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে গিয়ে ওই এলাকার শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে পোড়া মাংসের গন্ধ পান তারা। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হতেও দেখেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি বলেন, শাহনেওয়াজ ভূইয়ার বোনের জায়গা নিয়ে বিরোধ আছে। সে জায়গাতেই থাকতেন শারমিন বেগম। মনে হয় জায়গা খালি করতেই এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।নিহত শারমিন বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, ভোরে আমার স্ত্রী ঘরেই ছিল। বিকেলে শুনি আমার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। কেন হত্যা করেছে কিছু বুঝতে পারছি না।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভোরে ফারহান রনি ওই নারীকে ডেকে এনেছিলেন। তবে হত্যার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।স্থানীয়দের দাবি, ফারহানের মাদকাসক্তি এবং তার আগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়েও প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার পেছনের কারণ উদঘাটন এবং অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে।