স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
‘পুড়ছে মানুষ কাঁদছে দেশ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’; ‘জ্বালাও পোড়াও নাশকতা / রাজনীতি নয়, বর্বরতা’; ‘শিক্ষক-জনতার প্রতিরোধ/ রুখতে পারে অবরোধ’ এমন সব ব্যানার ও প্রচারপত্র নিয়ে আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও অনশনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। প্রতিটি সংগঠনের আলাদা ব্যানার, আলাদা লিফলেট, তবে বক্তব্য ও আহ্বান একই। প্রত্যেকেই চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র
সকালে ‘সন্ত্রাস-পেট্রলবোমা, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা বন্ধ করুন’—ব্যানার নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি প্রতিবাদ শোভাযাত্রা বের করে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর পল্টন হয়ে প্রেসক্লাবে এসে তা শেষ হয়। ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ অংশ নেন।
বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
‘অবরোধ ও নাশকতার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাব্যাবস্থা ধ্বংসের প্রতিবাদ’-এ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আখতারুজ্জামান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক। সংগঠনের সহসভাপতি নজরুল মজিদ, অরুণ কুমার গোস্বামী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এই সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন কোনো না কোনো মা অবরোধকারীদের হামলায় সন্তান হারাচ্ছেন। খালেদা জিয়াও এই সময়ে তাঁর সন্তান হারিয়েছেন। তাঁর এখন সন্তানহারার বেদনা বোঝার কথা। কাজেই তিনি যেন এই সহিংস কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। অনথ্যায় সাধারণ মানুষ যেভাবে প্রতিরোধ শুরু করেছে, সেটি চলতে থাকবে।’
প্রতিবাদী সাংবাদিক সমাজ
‘যানবাহনে পেট্রলবোমা মেরে ও মানুষ হত্যাসহ দেশজুড়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য বন্ধ, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা’র দাবিতে প্রতিবাদী সাংবাদিক সমাবেশ করে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক সমাজ। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক আশীষ কুমার দে। সাংবাদিক সোহেল আজাদ চৌধুরী, রাজু আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, শফি আহমেদসহ আরও অনেকেই এতে বক্তব্য দেন।
ঢাকা মুক্তাঙ্গন মাইক্রোবাস ও কার মালিক সমিতি ও মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন একই দাবিতে আলাদা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
এ ছাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ‘আগুনে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দিতে অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে অর্থবহ সংলাপ’-এর দাবিতে প্রতীকী অনশন করে ন্যাশনাল লেবার পার্টি। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ইনসাফ পার্টির শহিদ চৌধুরী, হিন্দু ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার, গণসংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মাসুম আহমেদ এতে অংশ নেন।