পিলখানা হত্যায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার তদন্ত কর!
বিশেষ প্রতিনিধি : পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের আগাম তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই সময়ের গোয়েন্দাদের নিষ্ক্রিয়তা তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা উচিত বলে সুপারিশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ এই সুপারিশ করেন।
আদালত তাদের সাতটি সুপারিশ সম্পর্কে বলেন, কোনোরকম ষড়যন্ত্র ছাড়া এত বড় হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে না। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে বিপদে ফেলা এবং রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল।
হাইকোর্টের সুপারিশগুলোর হলো- ১. অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচিতে বিডিআরের মতো এ ধরনের ফোর্সকে যুক্ত করা উচিত হয়নি। আইন-শৃংখলা বাহিনীতে এ জাতীয় কর্মসূচি যেন আর না নেয়া হয়।
২. বিজিবি আইনানুযায়ী বাহিনীতে সৈনিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা উচিত। এজন্য সময় সময় অভ্যন্তরীণ মতবিনিয়ের আয়োজন করা যেতে পারে।
৩. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি-দাওয়া পাঠানো হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা নিরসন করা হয়নি। তাই ভবিষ্যতে দাবি-দাওয়া থাকলে দ্রুত তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
৪. বাহিনীর সদস্যদের কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধানে বিজিবির ডিজি দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। তাদের আর্থিক সুবিধাসহ যাবতীয় সুবিধা প্রদানে ব্যবস্থা নেবেন।
৫. যদি তাদের কোনো পাওনা থাকে সেটিও দ্রুত সমাধান করতে হবে।
৬. যে কোনো সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। এবং
৭. তদন্ত কমিটি করে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার আগাম তথ্য দিতে গোয়েন্দারা কেন ব্যর্থ হয়েছে- সেটিও খুঁজে বের করা উচিত বলে আমরা মনে করি।