পিলখানা হত্যায় তদন্ত কমিশন-ন্যায়বিচার চাইলেন মেজর তানভীরের স্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : অবিলম্বে বিডিআর জওয়ানদের মুক্তি দিতে হবে এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে এক সমাবেশে জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা তাঁকে পাঁচ দিন সময় দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু যদি পাঁচ দিনের মধ্যে জাতির সামনে এই কমিশন প্রকাশ না করা হয় ও সেখানে যদি কোনো দল থাকে, তাহলে ষষ্ঠ দিনে আমাদের রাজপথে দেখা হবে।
এদিকে এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
ওদিকে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত মেজর তানভীর হায়দার নূরের স্ত্রী তাসনুভা মাহা নিহত সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার পায়, সেই আকুতি জানান। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর লাশ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গত চার মাসে বারবার চেষ্টা করেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইনি। তিনি দাবি করেন,…২০০৯ সালের ৩ মার্চ আমি বলেছিলাম, পিলখানায় যারা আমাকে ধরে নিয়ে বন্দী করেছিল, তাদের মধ্যে তিনজন হিন্দি ভাষা বলছিল। এ জন্য এ পর্যন্ত আমি অনেক অপমানের শিকার হয়েছি, কোনো জায়গায় আমাকে চাকরি করতে দেওয়া হয়নি।’
হত্যা মামলায় খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলায় এখনো কারাগারে থাকা এক বিডিআর সদস্যের ছেলে শাকিল বলেন, অবিলম্বে বিডিআর জওয়ানদের মুক্তি দিতে হবে এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা তাঁকে পাঁচ দিন সময় দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু যদি পাঁচ দিনের মধ্যে জাতির সামনে এই কমিশন প্রকাশ না করা হয় ও সেখানে যদি কোনো দল থাকে, তাহলে ষষ্ঠ দিনে আমাদের রাজপথে দেখা হবে।’
মাহিন সরকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যকে কমিশনের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছাত্র প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে তাঁদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে সাবেক সেনাসদস্য ও মানবাধিকারকর্মী খান সাহেব আমানউল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আবু সাঈদ লিওন প্রমুখ বক্তব্য দেন।‘সাধারণ বিডিআর পরিবার’ ব্যানার নিয়ে একদল ব্যক্তি এ সমাবেশে এসেছিলেন। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিডিআর হত্যা মামলা, বিস্ফোরক মামলা ও প্রহসনমূলক রায় বাতিল, কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে কারামুক্তি, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহাল, বিডিআর হত্যা মামলার পুনঃ তদন্ত ও ন্যায়বিচার করা হোক’।