• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

পিডিবি’র সিবিএ নেতার তাবেদারী খতম


প্রকাশিত: ৭:৫৬ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

এস রহমান : অবশেষে দুদকের কারিশমায় পিডিবি’র সিবিএ নেতার আলাউদ্দিনের তাবেদারী খতম হয়েছে। কিন্তু ধরা পড়েনি ওই নেতা।প্রায় দুই বছর আগে অবসরে গেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী স্টেনো-টাইপিস্ট মো. আলাউদ্দিন মিয়া। কিন্তু তিনি এখনো ব্যবহার করেন কোটি টাকা দামের একটি সরকারি পাজেরো গাড়ি।পিডিবির সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কারণে প্রভাব খাটিয়ে আলাউদ্দিন এই গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন বলে একটি অভিযোগ আসে র্দুনীতি দমন কমিশশনের (দুদক) অভিযোগ কেন্দ্র ১০৬ নম্বরে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুদক অভিযান চালিয়ে গাড়িটি জব্দ করেছে।

দুদক জানিয়েছে, সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কারণে টাইপিস্ট আলাউদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সংস্থার কোটি টাকা দামের একটি গাড়ি প্রায় ১০ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন। আলাউদ্দিনের গাড়ি ব্যবহার অবৈধ হলেও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভয়ে কিছু বলতে পারছিলেন না। ফলে সরকারি সংস্থার একটি পাজেরো জিপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এবং কর্তৃপক্ষকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে ব্যবহার করছেন-এমন একটি অভিযোগ দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) আসে।

অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে আজ সকালে দুদকের পুলিশ ফোর্স এবং চৌকস কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়। দলটি মতিঝিলে অভিযান চালিয়ে গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-২৮২৭) আটক করে। আটকের সময় গাড়িচালক মো. আবুল হোসেন জনি এবং নিরাপত্তা প্রহরী মো. সামছু মিয়া ঘটনাস্থলে ছিলেন।

অভিযানকালে দুদকের দলটি জানতে পারে, প্রতিমাসে গাড়িটির জন্য ডিজেল বরাদ্দ হয় ৪৫০ লিটার, যার আর্থিক মূল্য ২৯ হাজার ২৫০ টাকা। এ হারে প্রতি বছরে জ্বালানি বাবদ ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা খরচ হয়। এভাবে সিবিএ নেতা আলাউদ্দিন ২০০৯ সাল থেকে গত ১০ বছরে গাড়িটির জন্য পিডিবি থেকে ডিজেল খরচ তুলেছেন ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের ড্রাইভারের বেতন বাবদ ৪১ হাজার টাকা খরচ হয়। এ পর্যন্ত এ গাড়ির ড্রাইভারকে ৩৭ লক্ষাধিক টাকা বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমাসে গাড়িটির পেছনে ১০ লিটার মবিল এবং মেরামত ব্যয় হয়েছে। দুদক আরও জানতে পারে, গাড়িটির লগ বইয়ে আলাউদ্দিন মিয়া স্বাক্ষর করেন না, করেন পিডিবির একজন কর্মচারী।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জাতিরকন্ঠ কে বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে গাড়িটি ২০০৯ সাল থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটির পেছনে গত নয় বছরে জ্বালানি তেল, মেরামত এবং গাড়িচালকের বেতন বাবদ সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আইনত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোনোভাবেই ফুল টাইম গাড়ি পান না। এ ধরনের আইন অমান্যতা প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ধ্বংস করার শামিল, যা ছোট দুর্নীতি থেকে বড় দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করে। দুদক শিগগির এ ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করে আইনানুগ পথে অগ্রসর হবে।’