পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকাও উত্তোলন করেন। সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে, ভোর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলের বাইরেও আশপাশের সড়কগুলোতে রয়েছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো এলাকায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।পুলিশ, র্যাব, ডিবিসহ সাদা পোশাকে বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ঢল নেমেছে নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীরা ছোটো ছোটো দল বেঁধে মিছিল নিয়ে আসেন। শনিবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথ খুলে দেয়া হয়েছে। ৫টি প্রবেশ পথেই ভিড় রয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতেও রয়েছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি।
সম্মেলনস্থলে প্রবেশের আগে সবাইকে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকটি পয়েন্টে করা হচ্ছে তল্লাসি। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।সম্মেলন উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এ কাউন্সিলে শুধু অতিথিই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এক লাখ। পাশাপাশি অংশ নেবেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক নৌকার আদলে এবারের ২২তম সম্মেলনের মূল মঞ্চ। ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ৪৪ ফুট চওড়া মঞ্চের সামনের অংশে তুলে ধরা হয়েছে ১৩ বছরে সরকারের উন্নয়নের চিত্র।
মঞ্চের পেছনে থাকছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ। এর বাঁ-পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ডানপাশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এছাড়া, থাকবে জাতীয় চার নেতা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীসহ খ্যাতিমান নেতাদের ছবি।
মঞ্চের সামনে আমন্ত্রিত অতিথি, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্সিল শুরু হলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট খুলে সকাল ৭টায়। এবারের কাউন্সিলে অংশ নেবেন ৭ হাজার কাউন্সিলর ও ৫০ হাজারের বেশি ডেলিগেট। থাকবেন দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার নেতারা।
প্রথম অধিবেশন শেষে বিকাল তিনটায় শুরু হবে দ্বিতীয় অধিবেশন। এতে দলের বাজেট পেশ, গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র অনুমোদন শেষে বিলুপ্ত হবে বর্তমান কমিটি। এরপর কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।