• রোববার , ১৮ মে ২০২৫

পারভেজ-মুস্তাফিজে জিতল টাইগাররা


প্রকাশিত: ৩:২৭ এএম, ১৮ মে ২৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫ বার

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে পারভেজের মুখেই মিলল স্বস্থির হাসি। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত নানা টানাপোড়েন চলেছে ম্যাচ নিয়ে। মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিং এ আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা নাস্তানুবুদ হয়েছে।

স্পোর্টস রিপোর্টার : ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে পারভেজের মুখেই মিলল স্বস্থির হাসি। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত নানা টানাপোড়েন চলেছে ম্যাচ নিয়ে। মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিং এ আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা নাস্তানুবুদ হয়েছে। নানা ভুল করে ওরা বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের মান। যার ফলে শেষমেষ বাংলাদেশ জিতেছে ২৭ রানে। ১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা স্বাগতিক আরব আমিরাতের শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। জয় দিয়ে শুরু করা সিরিজে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলবে পরশু।

জয় না পেলে পারভেজ নিজেকে হতভাগাই কি ভাবতেন! ব্যাট হাতে আজ তাঁর যা ইচ্ছা তাই করেছেন। বাউন্ডারি থেকে করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৪ রান। ছক্কা মেরেছেন টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯টি, দুটিতে বলও হারিয়েছেন।

একের পর এক ছক্কায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আগের সেঞ্চুরিটি কার ছিল, সেটি মনে করা খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে সেই ম্যাচে এসেছিল ৬৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস।

পারভেজ আজ ফিফটি পেয়েছেন ২৮ বলে। সেঞ্চুরি করেছেন তামিমের চেয়ে কম (৫৩) বল খেলে। টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এটিই তাই দ্রুততম সেঞ্চুরি এখন। তবে সেঞ্চুরি করেও যে শেষ পর্যন্ত আফসোসে পড়তে হয়নি, সে জন্য মোস্তাফিজকে একটা ধন্যবাদ দিতে পারেন বাংলাদেশ ওপেনার।

আমিরাত ইনিংসের শেষ ৪ ওভারে ৪৯ রানের সমীকরণের সময় বোলিংয়ে এসে দুই ওভারে এই বাঁহাতি পেসার রান দিয়েছেন মাত্র ৭। ক্রিজে ছিলেন ২১ বলে চার ছক্কা ও তিন চারে ৪২ রান করা আসিফ খানও। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। কৃতিত্ব পাবেন তানজিম হাসানও। ইনিংসের ১২তম ও ১৪তম ওভারে তিনি ফেরান ৩৯ বলে ৫৪ রান করা ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম ও ২২ বলে ৩৫ রান করা রাহুল চোপড়াকে।

পারভেজ ভালো খেলেছেন বলে অবশ্য অন্য ব্যাটসম্যানদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। পারভেজ একা যেখানে ছক্কা মেরেছেন ৯টি, বাকি সবাই মিলে মেরেছেন মাত্র ৪টি। তাতেই অবশ্য বাংলাদেশের ছক্কার রেকর্ড হয়ে গেছে। এর আগে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১২টি।

ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২১) এসেছে অতিরিক্ত থেকে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৫ বলে ২০) করেছেন তাওহিদ হৃদয়। সে কারণেই তো প্রথম ১০ ওভারে ১০৩ রান তোলার পরও বাংলাদেশের রান ২২০-২৩০ নয়, ১৯১। আরব আমিরাতের ধারহীন বোলিংয়ের বিপক্ষে সংগ্রহটা ভালো, তবে অসাধারণ কিছু নয়। আরও ভালোর সুযোগ ছিল।

পাওয়ারপ্লেতে ৫৫ রান তোলা বাংলাদেশের রানের চাকা গতি হারিয়েছে মূলত মাঝের ওভারে, বিশেষ করে ১১ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে। এই পাঁচ ওভারে উইকেটে থাকা পারভেজ ও জাকের মিলে তুলতে পেরেছেন মাত্র ৩১ রান। শেষ ৫ ওভারে এসেছে ৫৭ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে অতিরিক্ত ৫ রান পাওয়ার পরও রান আসে মাত্র ৬।