পাবনা ও বেড়া প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে মা, খালা এবং ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তুহিন (২২) নামে এক যুবক। বুধবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনাপদ্মা চারাবটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার পর পরই হত্যাকারী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।পাবনায় এ ট্রিপল মার্ডারে’র নেপথ্যে মাদক না অন্য কিছু তা অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
নিহতরা হলেন, তুহিনের মা বুলি বেগম (৪০), ছোট ভাই তুষার (১০) এবং খালা মরিয়ম ওরফে নসিমন (৫০)।বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হেসেন জানান, তুহিনের মা, ছোট ভাই এবং খালা একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। তুহিন এবং তার স্ত্রী পাশের ঘরে ছিল। তুহিনের বাবা খুলনায় শ্রমিকের কাজ করেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে তুহিন একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার মায়ের ঘরে ঢোকে এবং মা, খালা ও ছোট ভাইকে ঘুম থেকে টেনে তুলে বারান্দায় নিয়ে এসে ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তুহিনের স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকে সে তাড়িয়ে দেয়। হত্যার পরপরই তুহিন পালিয়ে যায়।
তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জানাতে পারেনি। তবে জানা গেছে, তুহিন ২ মাস ধরে টাইফয়েড জ্বরে ভুগছিল। এছাড়া পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, তুহিনকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, তুহিন ছিল মাদকাসক্ত। মায়ের কাছে নেশার টাকা চেয়ে না পেয়ে প্রথমে সে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং খালা ও ছোট ভাই এগিয়ে আসলে তাদেরকেও সে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তুহিনের স্ত্রী রুনা বেগম (২০) দৌড়ে পার্শ্ববর্তী আওয়ামীলীগ নেতা আলম সেখের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং হত্যার কথা জানায়।
আলম সেখের বাড়ির লোকজনসহ অন্য প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে ঘাতক তুহিন পালিয়ে যায়।এদিকে ৩ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বেড়া থানার পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।