• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

পান্নার প্রেমে বাঁধা মানেনি-বাকপ্রতিবন্ধীতা!


প্রকাশিত: ৯:১৮ এএম, ২২ এপ্রিল ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮৫ বার

সিলেট থেকে হুমায়ুন কবির  :  কথা বলতে না পারলেও ইশারা ইঙ্গিতে এবং সামাজিক যোগাযোগ Siraj-panna-www.jatirkhantha.com.bdমাধ্যম ফেসবুকে অনুভূতির প্রকাশ তো আর থেমে থাকে না। যেমন থাকেনি সিরাজ আর পান্নার জীবনে। তাই সুদূর লন্ডন থেকে বাকপ্রতিবন্ধী সিরাজ আহমদ বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন বাকপ্রতিবন্ধী ফাবিহা খানম পান্নার প্রেমের টানে।

আর সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই ঘর বাঁধতে গতকাল শুক্রবার বিয়ে পিড়িতে বসলেন দুই জেলার দুই বাকপ্রতিবন্ধী। আউশকান্দি রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ৫ লাখ টাকার দেন মোহরে বিয়ের কাবিন করেন কাজী ছলিম হোসেন।

মুখে কথা বলতে না পারলেও ফাবিহা খানম পান্নাকে বিয়ের শাড়ী ও সিরাজ আহমদকে সেরোয়ানী পাগড়ীতে হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। কনে পক্ষের লোকজন ও বর যাত্রী ছাড়াও উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল এ প্রেমিক জুটির বিয়ের অনুষ্ঠানে।

সিলেট ও ঢাকা থেকে বর যাত্রী হিসেবে আসেন বর সিরাজ আহমদের ১০ জন বন্ধু। সবাই বাকপ্রতিবন্ধী। তাদের মধ্যে লক্ষ করা গেছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। বাকপ্রতিবন্ধী সিরাজের বন্ধুরা কাগজে লিখে জানান, বিয়েতে এসে তাদের ভালো লেগেছে। ফেসবুকে গ্রুপে সিরাজের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হয়।

ফাবিহা খানম পান্না নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের বড় পিরিজপুর গ্রামের মৃত মুহিব উদ্দিনের তৃতীয় মেয়ে। আর সিরাজ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের উলুয়াইল গ্রামের মৃত হাজি মখলিছুর রহমানের ছেলে। সিরাজ লন্ডন প্রবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে তাদের পরিচয়। এ থেকে শুরু হয় তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে ঘর বাধাঁর সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমিক যুগল।

পান্নার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে ফেসবুকে ফাবিহা খানম পান্নার সঙ্গে পরিচয় হয় সিরাজের। এর পর দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেন তারা। পরে তারা দুজনই সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। গত সাত দিন আগে সিরাজ লন্ডন থেকে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে দেশে আসেন।

এসে দু পরিবারের যৌথ উদ্যোগে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। শুক্রবার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে হয়। পরে নব বধু ফাবিহা খানম পান্নাকে নিয়ে সিরাজ তার মৌলভীবাজারের বাড়িতে যান।