পানির তলে গোয়েন্দাগিরি মার্কিন ডুবো ড্রোন পাকরাও
বিবিসি অবলম্বনে প্রিয়া রহমান : আন্ডারওয়াটার ড্রোন বা চালকবিহীন ডুবো-যান ১৯৫০ এর দশক থেকেই কাজ করছে। তবে চীনের হাতে মার্কিন ডুবো-যান আটক হওয়ার পর এ নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আকাশে ওড়া ড্রোনের কথা এখন সবাই জানেন। কিন্তু পানির নিচেও যে ড্রোন চলে তা হয়তো অনেকেরই অজানা। তাহলে এই চালকবিহীন ডুবো-যান আসলে কী?
সহজ ভাষায়, আন্ডারওয়াটার ড্রোন হচ্ছে এক ধরনের ক্ষুদে সাবমেরিন যার ভেতরে কোনো চালক নেই। এটি আনম্যানড আন্ডারওয়াটার ভেহিকল বা ইউইউভি নামে পরিচিত।
মিলিটারি ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট বলছে, ২০১৫ সালের শেষ দিকে মার্কিন নৌবাহিনী এই আন্ডারওয়াটার ড্রোন মোতায়েন করা শুরু করে।
এসব ড্রোন রেডিও সিগন্যাল দিয়ে পরিচালিত হয় না, যেমনটা আকাশে ওড়া ড্রোনের ক্ষেত্রে হয়। বরং পানির নিচের ড্রোন চলে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে। আর এর ভেতরে বসানো কম্পিউটার এবং সেন্সর দিয়ে তা পরিচালিত হয়।
দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের কাছে ওই আমেরিকান ডুবো-যানটিকে বৃহস্পতিবার আটক করে চীনা নৌবাহিনী। আমেরিকার দাবি, এটি সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ করছিল।
মিলিটারি ডটকম-কে রিয়ার এডমিরাল জোসেফ টোফালো বলেন, ইউইউভি নামের এই ডুবো-যান দিয়ে নানারকম ‘বিপজ্জনক, নোংরা এবং একঘেঁয়ে’ কাজগুলো করা হয়।
ব্লুফিন-২১ নামে এক ধরনের ড্রোন দিয়ে নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমান এমএইচ৩৭০ অনুসন্ধানের কাজ চালানো হয়েছিল সাগরের পাঁচ হাজার ফিট নিচে। এ ধরনের ড্রোন ১৯৫০ এর দশক থেকেই কাজ করছে। মোট ২৫০ ধরনের ড্রোন এখন নানা কাজে লাগানো হচ্ছে।