পাঠ্যবই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কোচিং ও নোটবই প্রকাশকরা
স্টাফ রিপোর্টার : পাঠ্যবই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সঙ্গে কোচিং ব্যবসায়ী ও নোটবুকের প্রকাশকরাও জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সবাই মিলিত হয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এটি কখনই সমীচীন নয়। এভাবে গুজব রটানোর মতো করে যদি বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার ‘গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে’ বই উন্মোচন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ে ১০-১১ বছর আগে কিছু ভুলত্রুটি ছিল। সেগুলো তখনই সংশোধন করা হয়েছিল। সেই ভুলগুলো নিয়ে এখন আবার কথা তোলা হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ে যদি কোনো ভুল থাকে, সেটা ঠিক করার জন্য দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভুলগুলো সংশোধন করবেন কমিটির সদস্যরা। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন কোনো ইস্যু না থাকায় পাঠ্যবইয়ের ভুলকে ইস্যু করা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল এ বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছেন। তাকে বলবো বইগুলো আগে ভালোভাবে পড়ুন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। মানবউন্নয়ন সূচক, সামাজিক সূচক, অর্থনৈতিক সূচকসহ নানান সূচকে পাকিস্তান, এমনকি ভারতকেও অতিক্রম করেছি আমরা। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন বাংলাদেশ ৬০তম অর্থনীতির দেশ ছিল। এখন জিডিপিতে বাংলাদেশেরর অবস্থান ৩৫। পিপিপিতে আমরা ৩১তম অর্থনীতির দেশ। বহুমাত্রিক সমাজের ফলে নানারকম সমালোচনা তৈরি হয়, যেটা স্বাভাবিক। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি, একজন পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতা বলছেন- আমরা রুটির জন্য হাহাকার করছি। অন্যদিকে বাংলাদেশ মেট্রোরেল চালাচ্ছে। দুই দেশের যে পার্থক্য, সেটা পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের বক্তব্যেই উঠে এসেছে। দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের দেশের রাজনীতিকদের বক্তব্য তা উঠে আসে না।