• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

পাক কর্নেলের দম্ভোক্তি-একাত্তরের গণহত্যা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব


প্রকাশিত: ৪:৩৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৬ বার

 

অনলাইন ডেস্ক:

একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে বিকৃত ভাবনার গণ্ডি থেকে এখনো বের হতে পারেননি পাকিস্তানের সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। এর প্রমাণ মিলল পাকিস্তানের সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার লেখনীতে।

কর্নেল এম হামিদ নামের ওই অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ‘শ্যাম ট্রায়ালস ইন বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশে ভাঁওতার বিচার) নামের একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধটি গতকাল শনিবার পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর, কটু ও বিকৃত মানসিকতার মন্তব্য করেছেন ওই সেনা কর্মকর্তা।

বর্তমানে ইসলামাবাদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কর্মরত হামিদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংসতম গণহত্যাকে ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্নতাবাদী উল্লেখ করে ওই পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ভারতের হস্তক্ষেপে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে।

হামিদের দাবি, একাত্তরে নৃশংসতা এবং ওই ঘটনার বিচার নিয়ে কথা বলার জন্য জামায়াতে ইসলামী, বিহারি, বিএনপি ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে আওয়ামী লীগ। এ জন্য তাদের বিচারের কথাও বলছে দলটি। কিন্তু সে সময় যেসব বাঙালি পাকিস্তান ভাগের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজন নৃশংসতা চালিয়েছেন।
১৯৭১ সালে যেসব হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, তার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন হামিদ। তাঁর দাবি, পাকিস্তান ভাগের বিরোধিতাকারী বাঙালিদের সমর্থন পেতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা অন্ধভাবে মানুষ মেরেছেন, নির্যাতন করেছেন।

আর পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে। পরে তাঁরা ‘ভারতের সৃষ্টি আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই পাকিস্তানি সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

আপডেট: ১২:৩৫, এপ্রিল ২৭, ২০১৪