পাকিস্তানের ফের মায়া কান্না-‘বন্ধু’ মীর কাসেমের ফাঁসিতে
বিশেষ প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে যথারীতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার ও দেশটির অন্যতম রাজনৈতিক দল ‘জামায়াত-ই-ইসলামী, পাকিস্তান’।
‘মীর কাসেম আলীর শোকাহত পরিবারের প্রতি পাকিস্তানের গভীর সমবেদনা’ এই শিরোনামে বিবৃতি প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘ভুল বিচারে’ ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের আগে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর ‘প্রখ্যাত’ নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তান গভীরভাবে ব্যথিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে ‘ভুলভাবে’ বিচারের মাধ্যমে বিরোধীদের দমন পুরোপুরি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। এ বিচার শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞরা এর আইনি প্রক্রিয়া, বিশেষ করে, বিচারের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে আপত্তি তুলে আসছে বলে দাবি করে তারা।
এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিত ১৯৭৪ সালের ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসরণ করা। সেখানে ক্ষমার আওতায় বিচার না করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগেও যুদ্ধাপরাধে জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান।
এদিকে, বরাবরের মতো এবারও ‘জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান’ তাদের ‘বন্ধু’ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শোক প্রকাশ করেছে।
সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পাতায় লিখেছে, মীর কাসেমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার জন্য গায়েবানা জানাজার কর্মসূচিও দিয়েছে তারা।
গতকাল শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে একাত্তরে চট্টগ্রামের আল-বদর বাহিনীর প্রধান কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান সরকার ও জামায়াত-ই-ইসলামী এ প্রতিক্রিয়া জানায়।