• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানকে হারানোর অনুপ্রেরণায় টাইগাররা


প্রকাশিত: ১:০৪ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার

স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে ২০১৮ সালের পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েই ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলা লাল সবুজের বাংলাদেশ
ফের আশাবাদি। পাকিস্তানকে হারানোর অনেক অনুপ্রেরণা নিয়ে বুধবার নামছে বাংলাদেশ। লাহোরের গরম দুশ্চিন্তা হলেও আশাবাদি টাইগাররা। যদিও শান্তর ইনজুরিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে টাইগাররা। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে টিম টাইগার্স। যদিও ম্যাচের আগেরদিন অনুশীলন করেনি সাকিবরা।বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়। দেখা যাবে দেশি বিদেশি স্পোর্টস চ্যানেলে।

বাইশ গজে ব্যাটে দ্যুতি যেমন ছড়িয়ে, পোষ্ট ম্যাচে মাইক্রোফোনেও তেমন সাহসী, আগ্রাসী। পাকিস্তানি সাংবাদিকদের খোঁচা মার্কা প্রশ্নগুলোকে সীমানা ছাড়া করেছেন মেহেদী মিরাজ। আফ্রিদিদের পেস সুইং বাউন্স নিয়ে কোনো ভয় নাই টিম বাংলাদেশের।আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজে আস্থা রেখে দারুণ সফল হাথুরু-সাকিব জুটি। দুই দিন বাদেই, শান্তর চোঁটে গুরু শিষ্যের মাথায় বড় চাপ। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেলেন ইনফর্ম বাঁহাতি। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলের জন্য বড় ধাক্কা।

ছন্দে থাকলে ব্যাটিং পজিশন বড় ইস্যু নয়। শান্ত সেই প্রমাণ দিলেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডাউনে খেলে ৮৯, পরের ম্যাচে চারে নেমে তুলে নিলেন বছরের দ্বিতীয় ওডিআই শতক। এশিয়া কাপে বাকি ম্যাচগুলোতে এমন শান্তকে মিস করবে কোটি টাইগার ভক্ত।

শান্তর বাড়ি ফেরা, তাওহীদ হৃদয়ের লড়াই চালিয়ে যাওয়া। প্রথম দুই ম্যাচেই ফ্লপ, বুধবার লাহোরের ফ্ল্যাট উইকেটে কি আত্ববিশ্বাস ফিরে পাবেন এই নতুন তারা, পাকিস্তান ম্যাচের আগে আরেকটা প্রশ্ন সবার মনে, শান্তর জায়গায় কে সুযোগ পাচ্ছেন লিটন নাকি বিজয়? প্রচন্ড গরমের কারণে একাদশে বাড়তি স্পিনার, অর্থাৎ নাসুম আহমেদকেও দেখা যেতে পারে।

লাহোরের পিচে আফগানদের বিপক্ষে তিন বিভাগেই আলো ছড়িয়ে পাকিস্তানকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। অতীত ইতিহাসও চাঙ্গা করছে সাকিবদের। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে আসর থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলো বাংলাদেশের। তবে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ৮৯ রানের দাপুটে জয়ে সরাসরি সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজেরা।

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মহসিন খান মনে করেন, এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার টাইগাররা। লাহোরের পিচ সাধারণত ব্যাটিং-বান্ধব। শান্ত-মিরাজরা উইকেট থেকে যথার্থ ফায়দা আদায় করেছে। এমন পিচের ফায়দা কেমন করে নিতে হয় তা-ই করে দেখালেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। সর্বশেষ লড়াইয়ে টাইগারদের ৯৪ রানে হারিয়েছিলো পাকিস্তান। আর, সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জয় ও ৩২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হৃদয় ভঙ্গের কিছু অভিজ্ঞতাও আছে বাংলাদেশের। ২০১২ সালে ঘরের মাঠের এশিয়া কাপে প্রথমবার ফাইনালে ওঠে টাইগাররা। পাকিস্তান ছাড়া অন্য সব দলকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটের সেই ফাইনালে ২ রানের হারে হৃদয় ভাঙ্গে পুরো জাতির।

বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মাহেদি হাসান, নাইম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও এনামুল হক বিজয়।

পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাউদ শাকিল, ফখর জামান, আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল-হাক, সৌদ শাকিল, সালমান আলি আঘা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, উসামা মীর, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হারিস, ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।