পশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর হরমোন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
পশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও হরমোন ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনার সুপারিশ তৈরি করতে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
আট সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবকে ওই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ওই কমিটিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, চিকিৎসক, পুষ্টিবিজ্ঞানী, পশু চিকিৎসক ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কোরবানির হাটে আনা পশু মোটাতাজাকরণে হরমোন বা রাসায়নিকসহ মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পদার্থের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর এই রিট আবেদনটি করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী এ রিট আবেদনটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
রুলে পশু মোটাতাজাকরণে অতিরিক্ত হরমোন বা রাসায়নিক ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ ও নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিবাদীদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়ের সচিব, র্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিপার্টমেন্ট অব লাইভস্টক সার্ভিসেসের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।