পলাতক খোকার লুটপাটের বাড়ি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে
সাইফুল বারী মাসুম : অবশেষে খোকার লুটপাটের বাড়ি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার রাজধানীর গুলশানের ছয়তলা বাড়িটি বুঝে নিয়েছে সরকার। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ভাড়াটিয়া সরিয়ে রোববার সরকারের পক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন ওই বাড়ির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
জানা গেছে, আদালতের ক্রোকি পরোয়ানা অনুযায়ী গত ২২ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৭২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের পাঁচ কাঠা জমি এবং তার ওপর নির্মিত ছয়তলা ভবনে বাজেয়াপ্ত করে নোটিস ঝোলানো হয়। তখন ওই বাড়িটির ভাড়াটিয়ারা সরে যেতে একমাসের সময় চান। ইতিমধ্যে সব ভাড়াটিয়া সরে যাওয়ায় রোববার ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা সরকারের পক্ষে বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেন। বাড়িটির দাম ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
বাড়িটি একটি বায়িং হাউজ ভাড়া নিয়েছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতো। বাড়িটির সিকিউরিটি মানি হিসেবে নেয়া ৫০ লাখের বেশি টাকা এখনও ভাড়াটিয়াকে ফেরত দেননি সাদেক হোসেন খোকা। এই টাকা একাধিকবার চাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির এই নেতার পক্ষ থেকে তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি বলে জানা গেছে।
গত বছরের ২০ অক্টোবর তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে খোকা অবৈধভাবে ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে রায় ঘোষণা করে ওই সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও সাত মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়।
গুলশানের বাড়িটি ছাড়াও গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে সাদেক হোসেন খোকার নামে থাকা মোট ১০০.১৯৪৬ একর জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।